দিল্লির দূষণের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র এবং হরিয়ানা সরকার দায়ী, কিন্তু দোষারোপ করা হচ্ছে দিল্লির আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের ওপর। সোমবার এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী সাগরিকা ঘোষ।
এমনিতে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা সবসময়ই উদ্বেগের বিষয়। বায়ুর মান সূচকের ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে ঠান্ডা আবহাওয়ার আগমনের সঙ্গেই। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাগরিকা প্রশ্ন তোলেন, “প্রতি বছর অক্টোবর মাসে দিল্লিতে দূষণ বাড়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য আপ সরকারকে দায়ী করে। কেন কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা তৈরি করছে না? দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি সর্বভারতীয় পরিকল্পনা কোথায়?”
তিনি বলেন, দিল্লিতে বায়ু ও জল দূষণ বৃদ্ধির পেছনে হরিয়ানা এবং কেন্দ্রের ভূমিকা রয়েছে। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, যদিও এই বছর নাড়া (খড়ের অব্যবহৃত অংশ) পোড়ানোর ঘটনা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২,৭৩৩টি খামারে আগুন লাগার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্জাবে ১,৩৯৩, হরিয়ানায় ৬৪২, উত্তরপ্রদেশে ৬৮৭ এবং দিল্লিতে ১১টি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি হরিয়ানার ডিজেল বাস, ইটভাটা এবং নাড়া পোড়ানোর ঘটনাকে দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য দায়ী করেছেন। এছাড়াও, তিনি অভিযোগ করেন যে হরিয়ানা থেকে অসম্পূর্ণ শিল্পবর্জ্য জলে ফেলায় দিল্লির যমুনা নদীতে ফেনা তৈরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি ইতিমধ্যেই সমস্ত ধরনের আতশবাজির উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে, যা নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ ছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বায়ু দূষণ মোকাবিলার জন্য পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থা (Graded Response Action Plan) চালু করেছে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন।
সাগরিকা ঘোষ বলেন, “কেন হরিয়ানার বিজেপি সরকার দিল্লির সঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছে না? দূষণজনিত দুর্ভোগ বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার শুধুমাত্র নির্বাচনী রাজনীতিতে মনোযোগী। বিভিন্ন কারণে শুধু বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলিকে নিশানা করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।