কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে অ্যাজ়মা, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা এবং মানসিক অসুস্থতার মতো আটটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের অসুবিধার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “হঠাৎ করে ওষুধের এত দাম বৃদ্ধি হলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সামনে বড় সমস্যার সৃষ্টি হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে জীবনদায়ী ওষুধের দামবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্যও বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও টানেন। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যেখানে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানে ওষুধের এই দামবৃদ্ধি রাজ্যের আর্থিক ভার আরও বাড়াবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।”
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) কাঁচামালের খরচ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন সমস্যা উল্লেখ করে এই ওষুধগুলির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মতে, এই মূল্যবৃদ্ধি জরুরি, যাতে বাজারে ওষুধগুলি সর্বদা পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এক ধাক্কায় এত বড় মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের অসুবিধা বাড়াবে।
চিঠির শেষ অংশে মুখ্যমন্ত্রী জনস্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে অনুরোধ করেন যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়।