আন্তর্জাতিক জার্নাল PLOS এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্লো লেপার্ড বা বিরল প্রজাতির তুষারচিতা রয়েছে লাদাখে। ভারতে এখন ৭০৯টি তুষারচিতা বা স্লো লেপার্ড রয়েছে। এরমধ্যে ৪৭৭টি অর্থাৎ ৬৮% তুষারচিতা রয়েছে লাদাখেই।
লাদাখের হেমিস ন্যাশনাল পার্কে প্রতি ১০০ কিলোমিটার অন্তর রয়েছে ২.০৭টি তুষারচিতা বা স্লো লেপার্ড। লাদাখের চাংথাঙ হাই অল্টিচিউড কোল্ড ডেজার্ট ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে রয়েছে সবচেয়ে কম সংখ্যক স্নো লেপার্ড।
গবেষকরা অকিউপেন্সি সার্ভে, ক্যামেরা ট্র্যাপ ও পায়ের ছাপ মিলিয়ে স্নো লেপার্ডের শুমারি করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৯% তুষারচিতা সংরক্ষিত জায়গায় থাকলেও ৫৭% তুষারচিতা জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে থাকে। জম্মু-কাশ্মীরের ইকো টাস্ক ফোর্সের বন আধিকারিক পঙ্কজ রায়নার নেতৃত্বে গবেষণা চালানো হয়। বিরল প্রজাতির প্রাণী স্নো লেপার্ডের সংরক্ষণ করা নিয়ে লাদাখের বাসিন্দারা সচেতন হয়েছেন। দুর্গম এলাকা, কম জনবসতি ও শিকার করার পর্যাপ্ত তৃণভোজী প্রাণী থাকার কারণে লাদাখে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে, ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার বিলুপ্তপ্রায় স্নো লেপার্ডের শুমারির ফল প্রকাশ করেছে সিকিম সরকার ।সিকিমের বন দফতর, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক এবং ডাব্লিউডাব্লিউএফ (ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার – ইন্ডিয়া)-এর যৌথ উদ্যোগে ওই শুমারি করা হয়েছিল । সেই শুমারি থেকে জানা গিয়েছে, সিকিমের গেইজিং, পাকইয়ং ও মঙ্গন, এই তিন জেলায় বিলুপ্তপ্রায় স্নো লেপার্ডের সংখ্যা ২১ ।