Home শরীরস্বাস্থ্য তেঁতুল জলেই ঝরুক মেদ, তেঁতুলে ঠেকান ডায়াবেটিস, সারান পেপটিক আলসার

তেঁতুল জলেই ঝরুক মেদ, তেঁতুলে ঠেকান ডায়াবেটিস, সারান পেপটিক আলসার

0

ডাল হোক কিংবা সবজির তরকারি, রান্নায় টক স্বাদ আনতে জুড়ি মেলা ভার তেঁতুলের ক্বাথের। তেমনই তেঁতুলজলের টক স্বাদ ছাড়া অসম্পূর্ণ ফুচকা বা দইবড়া। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই নয় স্বাস্থ্যকরও বটে তেঁতুলজল। ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ এই তেঁতুলজল।

তেঁতুল যেমন কাঁচা-পাকা খাওয়া যায়, তেমনই অন্য কোনো খাবারে যোগ করেও খাওয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই তেঁতুল হজমে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে তেঁতুল। ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেপটিক আলসার সারাতে সাহায্য করে তেঁতুল।

গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলের বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে পেপটিক আলসার সেরে যায়। তেঁতুলে থাকা পলিফেনলিক কম্পাউন্ড আলসার সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তেঁতুলে রয়েছে ফাইবার। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন তেঁতুল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও তেঁতুলে থাকা হাইড্রোক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড (hydroxycitric acid) খিদে কমায়।

তেঁতুল খুবই হার্ট ফ্রেন্ডলি। ফ্ল্যাভনয়েড আছে বলে তেঁতুল রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আবার রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে দেয় না। পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও তেঁতুলে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিডনি ফেলিওর এবং ক্যানসার রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে অ্যান্টি হিস্টামিনিক গুণাবলি রয়েছে। যার ফলে অ্যালার্জি হতে বাধা দেয়। আবার তেঁতুলের ভিটামিন সি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তেঁতুল লিভারকেও সুরক্ষিত রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত তেঁতুলপাতা ব্যবহার করে উচ্চ মাত্রায় মদ্যপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত লিভার সেরে উঠেছে।

আরও পড়ুন

মোবাইল-নির্ভর জীবন আপনাকে ‘নোমোফোবিয়া’র দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো?

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version