Homeশরীরস্বাস্থ্যজ্বর-সর্দিতে ব্যবহৃত ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

জ্বর-সর্দিতে ব্যবহৃত ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

প্রকাশিত

কেন্দ্রীয় সরকার জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ অগস্ট) এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এই ওষুধগুলি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এফডিসি ওষুধগুলি সাধারণত একাধিক সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের সংমিশ্রণ এবং চলতি কথায় এগুলিকে ককটেল ওষুধ হিসাবে পরিচিত।

নিষিদ্ধ ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে, ব্যথা উপশমকারী হিসাবে ব্যবহৃত জনপ্রিয় সংমিশ্রণ অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি (Aceclofenac 50mg + Paracetamol 125mg), মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন (Mefenamic Acid + Paracetamol Injection), এবং সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল (Cetirizine HCl + Paracetamol + Phenylephrine HCl) সহ অন্যান্য অনেক সংমিশ্রণ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যেখানে নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রণ ওষুধের ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে।” বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, সরকার নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ কমিটি এই ওষুধগুলিকে অযৌক্তিক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এর ধারা ২৬ ক-এর ​​অধীনে জনস্বার্থে এই ওষুধগুলির উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের ব্যথায় কাতর রোগীর যন্ত্রণার উপশম হয় যোগব্যায়ামে, জানাল এইমস-এর গবেষণা  

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এমন কিছু পণ্যও রয়েছে যা অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারক ইতিমধ্যেই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানায়, নির্মাতারা কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই রোগীদের কাছে এফডিসি ওষুধগুলি বিক্রি করছে। সেই সময় সরকার ৩৪৪টি এফডিসি ওষুধের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করেছিল, যার মধ্যে ২০২৩ সালের জুন মাসে আরও ১৪টি নিষিদ্ধ করা হয়।

এই পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। সরকার বলেছে, যেহেতু এফডিসিগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং নিরাপদ বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে, তাই রোগীদের সুরক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।