চিয়া সিডস হল পুষ্টির পাওয়ার হাউজ। চিয়া সিডসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার ও প্রোটিন। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফিট রাখতে ও রক্তের শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চিয়া সিডস। অন্যদিকে, ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। ডাবের জল ও চিয়া সিডস মিলেমিশে হজমে সহায়তা করে, এনার্জি লেভেল বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে স্বাস্থ্যকর এনার্জেটিক টনিক ডাবের জলে ভেজানো চিয়া সিডস খেলে কী হয়
১) চিয়া সিডসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে। ডাবের জলে ভেজানো চিয়া সিডস খেলে শরীরে ফোলা ভাব দূর হয়। বাড়তি জমে থাকা জল বেরিয়ে যায়। খাইখাই ভাব দূর হয়। ডাবের জলে রয়েছে প্রাকৃতিক উৎসেচক যা হজমশক্তি বাড়ায়।
২) বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ডাবের জলে ভেজানো চিয়া সিডস খান। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে বলে চিয়া সিডস খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে। খাইখাই ভাব দূর হয়। কৃত্রিম শর্করা দেওয়া ঠান্ডা পানীয়র বদলে কম ক্যালরিযুক্ত ডাবের জল খান।
৩) চিয়া সিডস জেলের মতো আঠালো আর ঘন হয় যা ডাবের জলে ভিজিয়ে খেলে শরীরে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। ডাবের জলে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট থাকে।
৪) ডাবের জলে আর চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও এসেন্সিয়াল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও জেল্লা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া সিডস ও ডাবের জল খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে ফোলা ভাব দূর হয়। ডাবের জল হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তচাপ ও রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চিয়া সিডসে রয়েছে আলফা লিনোলেইক অ্যাসিড ও কোয়েরসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৬) হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ চিয়া সিডস।
৭) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইবার থাকে বলে চিয়া সিডস খেলে ইনসুলিন রেজিজট্যান্স কমে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। মেটাবলিক সিন্ড্রোম ও টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন:
একই মোজা বারবার না কেচে পরছেন? টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি ব্যাক্টেরিয়া জমছে পায়ে!
ঘর-গাড়ির ভেতরেই সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক দূষণ! দিনে ফুসফুসে ঢুকছে ৬৮ হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক কণা