Home শরীরস্বাস্থ্য অবিশ্বাস্য সাফল্য! ১২ ঘণ্টার জটিল মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারে লেবুর আকারের টিউমার অপসারণ করল...

অবিশ্বাস্য সাফল্য! ১২ ঘণ্টার জটিল মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারে লেবুর আকারের টিউমার অপসারণ করল ফর্টিস হাসপাতাল

ফর্টিস আনন্দপুর হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে মস্তিষ্ক থেকে লেবুর আকারের টিউমার অপসারণ। মায়ানমারের ৪০ বছরের এক মহিলার সফল চিকিৎসা বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

Fortis

আবারও প্রমাণ হল চিকিৎসায় দক্ষতা, প্রযুক্তি ও টিমওয়ার্কের অসামান্য সমন্বয়! কলকাতার ফর্টিস হাসপাতাল আনন্দপুরে (Fortis Hospital Anandapur) ১২ ঘণ্টা ধরে চলা এক বিরল ও অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচারে ৪০ বছরের এক মহিলার মস্তিষ্ক থেকে লেবুর আকারের টিউমার সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে।

রোগী মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা। গত চার মাস ধরে তিনি তীব্র মাথাব্যথা, ভারসাম্য হারানো এবং ক্রমশ কমতে থাকা দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভুগছিলেন। ভর্তি হওয়ার সময় তাঁর বাম চোখের দৃষ্টি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ডানদিকের শরীরে দুর্বলতাও দেখা দিয়েছিল। বিস্তারিত পরীক্ষায় ধরা পড়ে একটি বিশাল ক্লিনয়েডাল মেনিঞ্জিওমা (Clinoidal Meningioma) — অ-ক্যানসারযুক্ত মস্তিষ্কের টিউমার, যা খুলি-ভিত্তিক অংশে গজায় এবং অপটিক নার্ভ ও গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে।

এই ধরনের টিউমার চিকিৎসায় সবচেয়ে জটিল হিসেবে পরিচিত, কারণ সামান্যতম ভুলও স্থায়ী দৃষ্টিহীনতা বা পক্ষাঘাত ঘটাতে পারে।

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর কেন্দ্রীয় রিপোর্ট! প্রতি ৩ জন ভারতীয় শিশুর মধ্যে ১ জনের শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল

অস্ত্রোপচারটি নেতৃত্ব দেন ড. জি. আর. বিজয় কুমার, ডিরেক্টর, নিউরোসার্জারি, ফর্টিস আনন্দপুর। তিনি জানান, “এটি আমাদের হাসপাতালে সবচেয়ে জটিল ব্রেন টিউমারের একটি কেস ছিল। টিউমারটির মাপ ছিল প্রায় ৭.৭ × ৪.৩ × ৫.৮ সেমি — প্রায় একটি বড় লেবুর সমান। এটি এমন জায়গায় ছিল যা দৃষ্টি ও মোটর ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। টিউমারটি গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু ও রক্তনালির সঙ্গে জটিলভাবে জড়িয়ে ছিল, ফলে প্রতিটি ধাপ ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য ও টিমওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণ টিউমারটি অপসারণ করতে পেরেছি।”

অপারেশনে ক্র্যানিওটমি (মাথার খুলি খোলা) ও মাইক্রোসার্জারি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। টানা ১২ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। তবুও সার্জিকাল দলটি সফলভাবে পুরো টিউমারটি অপসারণ করতে সক্ষম হয়, কোনও স্নায়বিক ক্ষতি ছাড়াই।

অস্ত্রোপচারের পর রোগীর অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। তিনি এখন হাঁটতে পারছেন সহায়তার মাধ্যমে, এবং দৃষ্টিশক্তিও ধীরে ধীরে ফিরছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version