কোভিড-১৯ অতিমারির পরপরই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আবারও ছত্রাকঘটিত সংক্রামক অসুখ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নতুন নির্দেশিকায় সতর্ক করেছে যে, অবহেলা করলে এই ধরনের সংক্রমণ প্রাণঘাতী হতে পারে।
দুর্বল শরীরে বাসা বাঁধছে ছত্রাক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, দুর্বল শরীরেই মূলত বাসা বাঁধছে এই সংক্রামক ছত্রাক। ডায়াবিটিসের রোগী, দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে থাকা ব্যক্তি, দীর্ঘ সময় স্টেরয়েড ব্যবহারকারী, কো-মর্বিডিটি যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সাধারণত খাবার, মাটি এবং বাতাস থেকেই এই সংক্রমণ ছড়ায়।
ঝুঁকিতে ক্যানসার এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন রোগীরা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগী বা কেমোথেরাপির অধীন ব্যক্তিদের শরীরে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়েছে। এছাড়া, এইচআইভি আক্রান্ত রোগী এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তিরাও উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। হাসপাতালের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন থাকলে বা চিকিৎসার সময় অবহেলা হলে সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
লক্ষণ ও করণীয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ছত্রাক সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাকে ব্যথা, মাথাব্যথা, নাকের চামড়ার বিবর্ণতা, ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কফ, রক্তবমি এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা অন্তর্ভুক্ত। সংক্রমণের আশঙ্কা হলে অবিলম্বে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে সাবধান হবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া উচিত। নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে, সংক্রমণের বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়াই একমাত্র পথ।