Homeশরীরস্বাস্থ্যউদ্ভিদজাত দুধে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি? গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

উদ্ভিদজাত দুধে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি? গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত

অনেকেই আজকাল প্রাণীজ দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের বদলে বিকল্প উদ্ভিদজাত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খান। গোরু, ছাগল বা মোষের দুধের বদলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে ওটস, আমন্ড বা সয়া মিল্ক খান। সে সব বিকল্প উদ্ভিদজাত দুধ খাওয়া হয় সরাসরি দোকান, বাজার বা সুপারমার্কেট থেকে কিনে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে এসব উদ্ভিদজাত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ার ফলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে শরীরে। এমনকি কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্টে।

গবাদি পশুর ওপর অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকতেই অনেকে আজকাল ভেগান জীবনশৈলীর দিকে ঝুঁকেছেন। অনেকে আবার স্বাস্থ্যর কারণে প্রাণীজ দুধ এড়িয়ে চলতে চান। এসব কারণে বিকল্প আমন্ড মিল্ক, সয়া মিল্ক, ওটস মিল্ক, টোফু প্রভৃতি উদ্ভিদজাত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খান অনেকে। ২০২৩ নিউট্রিশন শীর্ষক আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশনের বার্ষিক বৈঠকে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক তৃতীয়াংশ উদ্ভিদজাত দুধে স্ট্রবেরি বা চকোলেট মিল্কের চেয়েও বেশি শর্করা রয়েছে। এছাড়াও এসব বিকল্প উদ্ভিদজাত দুধের টেক্সচার উন্নত করতে কার্বোক্সিমিথাইলসেলুলোজ, জেলাটিন, ওয়ে প্রোটিন, জ্যান্থাম গামের মতো অ্যাডিটিভ ও ইমালসিফায়ার যোগ করা হয়। এসব কৃত্রিম পদার্থর কারণে অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাক্টেরিয়া কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ধীরে ধীরে ফুলতে শুরু করে অন্ত্র। কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে শুরু করে। কোলনের লাইনিংয়ে যে রক্ষাকারী কোষের রক্ষাকবচ থাকে তা নষ্ট হয়ে যায় ফোলার কারণে। শুরু হয় ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি।

মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারিয়া আব্রেউ জানান, প্রসেস করা খাবারে যে ইমালসিফায়ার, কৃত্রিম উৎসেচক ব্যবহার করা হয় তা অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাক্টেরিয়ার কার্যকারিতায় বদল আনে ভীষণভাবে। আল্ট্রা প্রসেস করা খাবারের স্বাদ বাড়াতে যে অ্যাডিটিভ, ইমালসিফায়ার ব্যবহার করা হয় তা কমবয়সিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ৫৫ বছরের নীচে বয়স কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৯৯৫ সালে ছিল ১১%। ২০১৯ সালে ৫৫ বছরের নীচে বয়স এমন কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০%। এনআইএইচের অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের গবেষকদের করা গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ক্যানসার রিসার্চ নামক ক্যানসার সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক জার্নালে।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...

সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে থেকে ফেরানো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সুনালি খাতুন ও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র। গর্ভবতী সুনালি ও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে আলোড়ন।

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান...

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।