পুজোর ৫টা দিন নিজেকে সাজিয়ে তুলুন একেবারে অন্য লুকে। সেই সাজ দেখে যেন চমকে ওঠে প্রায় সকলে। কিন্তু কীভাবে সাজবেন পুজোর ৫ দিন বরং জেনে নেওয়া যাক।
দিনের সাজ-
উৎসবের শুরু অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে সাজ কিছুটা হালকাভাবে শুরু হতে পারে। দশমী পর্যন্ত সেটা ধীরে ধীরে রঙিন হয়ে উঠবে। দিনের বেলার সাজে ন্যাচারাল লুক থাকা জরুরি। দিনে মন্দিরে যাওয়া বা পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় প্রকৃতির সজীব ভাবটা সাজে থাকা চাই।
ত্বকের টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা খুব হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। ফাউন্ডেশন হালকা করার জন্য এতে কিছুটা জল মিশিয়ে নিন। খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে এর ওপর পাউডার বুলিয়ে নিন। তবে মেকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে ভুলবেন না।
পড়ুন: পুজোর আগে প্রাণহীন ত্বকের উজ্জ্বলতা কীভাবে ফেরাবেন? এই ৫ টি ফলে হতে পারে সমস্যার সমাধান
চোখের মেকআপ-
দিনে চোখের সাজে অফ হোয়াইট হাইলাইট, কালো ও বাদামি রঙের কম্বিনেশনের আইশ্যাডো, পেনসিল আই লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে শুধু কাজলের একটা হালকা রেখা টেনে দিন চোখে।
ঠোঁটের সাজ-
ঠোঁটে কোরাল বা হালকা গোলাপি লিপস্টিক লাগাতে পারেন। সঙ্গে হালকা পিংক ব্লাশান।
চুলের স্টাইল-
দিনের জন্য বাইরে বের হলে চুলের স্টাইলটা এমনভাবে করুন যাতে চুল নিয়ে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে না হয়, আবার দেখতেও ভালো দেখায়।
রাতের সাজ-
রাতের জন্য জমকালো ভাবে সাজতে কোনও বাধা নেই। তাই রাতের মেকআপটা একটু ডার্ক ভাবেই করুন। শুরুতে মুখ পরিষ্কার করে গোলাপজলে সামান্য তুলো ভিজিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ে বুলিয়ে নিন। এতে চেহারা সতেজ দেখাবে।
চোখের আশপাশের কালি ঢাকার জন্য কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন এমনভাবে লাগান যেন বাড়তি কোনো ছাপ না থাকে। ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। চোখের সাজটা একটু গাঢ়ভাবে করলে ভালো দেখাবে। অ্যাকোয়া ব্লু ও ধূসর আইশ্যাডো কম্বিনেশন করে লাগাতে পারেন চোখের ওপর। তার ওপর হাইলাইট করুন শাইনি মভ বা সিলভার কালার দিয়ে।
চোখের আউটার কোণে সিলভার হাইলাইটার দিন। আই লাইনার ও কাজল তো থাকবেই। সঙ্গে চোখের পাপড়ি ঘন ও বড় দেখানোর জন্য ২-৩ পরত মাশকারা লাগিয়ে নিতে পারেন। ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক দিন। চোখের মেকআপ খুব গাড় হলে ন্যাচারাল রঙের লিপস্টিকই ভালো দেখাবে অথবা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়েও দিতে পারেন লিপস্টিক।
চুলের সাজে নানা ধরন-
খোলা চুলে স্টাইল করবেন, না বেঁধে রাখবেন, কার্ল করবেন, না স্ট্রেট চুল ভালো লাগবে এই নিয়ে মনে হাজারো প্রশ্ন। মুখের গড়ন ও পোশাকের ওপর নির্ভর করবে হেয়ারস্টাইল। কারণ, গোলমুখে যে হেয়ারস্টাইল মানাবে লম্বামুখে নিশ্চয়ই সেই হেয়ারস্টাইল চলবে না। আবার ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে যে হেয়ারস্টাইল আর শাড়ির সঙ্গে যে হেয়ারস্টাইল আলাদা হবে। তাই পুজোর সময় পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কী ধরনের হেয়ারস্টাইল করবেন ঠিক করে নিন।
সাজগোজে চুলের স্টাইল কিন্তু ভারী গুরুত্বপূর্ণ। ফিনিশিং টাচ যাকে বলে। চুল একটু ঠিক করে বাঁধলে, পুরো লুকটাই বদলে যায়। চুল একটু লম্বা হলে পুজোর সকালে হালকা হাত খোঁপাও ভালো লাগবে। শাড়ির সঙ্গে দিব্যি মানাবে। মাঝখানে সিঁথি করে সামনের দিকটা অল্প ফুলিয়ে নিতে পারেন। একটু কায়দা করতে চাইলে পুরো চুল ব্যাক কোম করে নিয়ে লো বান করতে পারেন।
সন্ধ্যায় একটু গর্জিয়াস সাজতে চাইলে খোঁপায় ফুল বা একটু সাবেকি ধাঁচের খোঁপার কাঁটা বা হেয়ার এক্সেসরি লাগাতে পারেন। খোঁপার ওপর হেয়ার পিনও শাড়ির সঙ্গে ভালো মানাবে। যদি চুলে কোনো স্টাইলিং না করেন বা সিম্পল স্টাইল রাখেন তখন জমকালো সাজের জন্য কানে ভারী লম্বা দুল পরতে পারেন। তখন সঙ্গে গলায় ভারী কিছু না পরলেও চলবে। হালকা সরু চেনই যথেষ্ট।
ওয়েস্টার্ন পোশাকে চুলে ব্যাক কোম করে পুরো চুলটা টুইস্ট করে একদিকে নিয়ে এসে কাটা দিয়ে আটকে নিন। দেখতে ভালো লাগবে। চুল সব সময় বাঁধতে হবে এমন নয়, খোলা চুল রাখতেই পারেন। স্ট্রেট আবার হালকা কার্লও করতে পারেন।
রূপচর্চা সংক্রান্ত খবর পড়তে নজর রাখুন খবর অনলাইন