Home জীবন যেমন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ‘সেলফ অবসেসড’ কারও সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে জড়াননি তো? কী...

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ‘সেলফ অবসেসড’ কারও সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে জড়াননি তো? কী করে বুঝবেন? কী করবেন

0

মৌ বসু

ভালোবাসা অত্যন্ত পবিত্র অনুভূতি। কিন্তু এমন অনেক সময়ই হয় আমরা নিজেদের অজান্তেই টক্সিক বিষাক্ত প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমাদের দিক থেকে হয়তো সেটা ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে। কিন্তু উল্টোদিকের মানুষটি হয়তো মানুষ হিসাবে আমাদের স্বাভাবিক মর্যাদা, প্রাপ্য সম্মানটুকুও দেয় না। সে ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাবেই বলা যায় আপনার পার্টনার একজন ‘নার্সিসিস্ট’ বা ‘সেলফ অবসেসড’ পার্টনার।

এই ধরনের মানুষ সারাক্ষণ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। অহংকারী, ইগো-সর্বস্ব, আতম্ভরী একজন মানুষ। সব সময় নিজের কৃতিত্ব, নিজের পছন্দ-অপছন্দ জাহির করতে ও আপনার ওপর চাপিয়ে দিতে ইচ্ছুক। সারাক্ষণ এমন ব্যক্তি শুধু আপনার কাছ থেকে প্রশংসা কুড়োতে চায়। কিন্তু সম্পর্কের দায়দায়িত্ব পালন করতে চায় না। আপনার সুখদুঃখে পাশে থাকে না। এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকা নিঃসন্দেহে মানসিক ও আবেগের দিক থেকে কষ্টকর।

কী দেখলে বুঝবেন আপনি কোনো অহংকারী, ইগো-সর্বস্ব, ‘সেলফ অবসেসড’ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন –

১) মানুষটি সারাক্ষণ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, নিজের কথা বলতে ইচ্ছুক। আপনার কোনো গুরুত্ব তার কাছে নেই।

২) আপনার চিন্তাভাবনা, আপনার ইচ্ছে-অনিচ্ছের কোনো দাম নেই। সারাক্ষণ চায় সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুক, সবাই শুধু তারই প্রশংসা করুক।

৩) নিজেকে নিয়ে বড়োই গর্ব, অহংকার।

৪) অন্যকে খাটো করে নিজেকে বড়ো দেখাতে চায়।

৫) ভালোবাসা, সম্পর্ক ইত্যাদির কোনো গুরুত্ব নেই তার কাছে। আপনার প্রতি কোনো সহমর্মিতা বোধ নেই।

৬) আপনাকে সারাক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বা করে। আপনার আত্মবিশ্বাস তলানিতে যাতে ঠেকে তার চেষ্টা করে। যাতে আপনি সব সময় তার ওপর নির্ভরশীল থাকেন।

৭) নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য আপনাকে ম্যানিপুলেট করে।

৮) সুস্থ সম্পর্কের মূল কথা হল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও যোগাযোগ। টক্সিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে দেখবেন আপনার পার্টনার আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। সারাক্ষণ আপনাকে এড়িয়ে চলছে। নীরব থেকে সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট করছে।

৯) দোষ না করেও আপনাকে ক্ষমা চাইতে হচ্ছে। অথচ সে ক্ষমা চাইছে না। যেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার দায় একমাত্র আপনার।

১০) আপনার পার্টনারের আচার-আচরণ অসঙ্গতিপূর্ণ। ভরসাযোগ্য নয়। মিথ্যা কথা বলে। যে কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি আস্থা ও বিশ্বাস।

১১) পারস্পরিক দেওয়া-নেওয়ার ওপর গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। কিন্তু আপনি সবটুকু অর্পণ করলেও সে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।

১২) ভুল বুঝিয়ে ও আপনার সম্বন্ধে ভুল কথা বলেই আপনাকে আপনার প্রিয়জনের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে আনবে। আপনি যাতে একাকিত্বে ভোগেন।

ট্রমা কাটিয়ে নিজে কীভাবে ভালো থাকবেন –

১) নিজেকে গুরুত্ব দিন। মন না খারাপ করে নিজের শরীর ও মনের সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিন।

২) নিজেকে মর্যাদা দিন। আত্মবিশ্বাসী হন। আপনি পারবেন, এ কথা সব সময় মনে রাখবেন।

৩) টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। না বলতে শিখুন।

৪) মাথা ঠান্ডা রাখুন। আবেগতাড়িতভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।

৫) নিজের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। পছন্দের হবি বেছে নিন।

৬) ধৈর্য ধরতে শিখুন। কেউ যাতে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তার জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠুন। ৭) চাকরি বা ব্যবসা করলে, কাজেকর্মে ব্যস্ত থাকুন। নিজের কেরিয়ারকে গুরুত্ব দিন।

ওপেন রিলেশনশিপ রাখতে চায় সঙ্গী? সিদ্ধান্ত নিন এই ৫ টিপসকে অনুসরণ করে 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version