Home খাওয়াদাওয়া খাওয়াদাওয়া মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে, ক্যানসার আটকাতে পারে মাছের ডিম

মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে, ক্যানসার আটকাতে পারে মাছের ডিম

0

কথায় বলে মৎস্যপ্রিয় বাঙালি। মাছের পাশাপাশি মাছের ডিমের নানা সুস্বাদু খাবারের পদও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে বাঙালি। ভারত ছাড়াও মাছের ডিম খেতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, চিন, জাপান, আমেরিকা, ব্রাজিল, সুইডেন, স্পেন, রাশিয়া, পর্তুগাল, ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, ব্রিটেনের মানুষ ভালোবাসে। মাছের ডিম খেতে সবচেয়ে ওস্তাদ জাপানিরা।

মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি আছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রেস্ট, কোলোন, প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে মাছের ডিম। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে মাছের ডিম। মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ইকোসাপেন্টানোয়িক অ্যাসিড, ডোকোসাহেক্সানোয়িক জাতীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন বি১২ থাকে যা ফিল গুড হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। মন মেজাজ ভালো রাখে।

কতটা উপকারী মাছের ডিম

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যামিনো অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাছের ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি ও ডি, সেলেনিয়াম ও দস্তার মতো ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে বলে মাছের ডিম রোগের সংক্রমণ আটকায়।

মাত্র ২ চামচ মাছের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ইকোসাপেন্টানোয়িক অ্যাসিড, ডোকোসাহেক্সানোয়িক জাতীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই রিউম্যাটিক আর্থরাইটিসের মতো অটো ইমিউন ডিজিজ প্রতিরোধে কার্যকর মাছের ডিম। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছের ডিম হাড় মজবুত করে।

দ্য অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াটেটিসের গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট ভালো রাখতে মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। মাছের ডিমে মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

প্রচুর পরিমাণে ইকোসাপেন্টানোয়িক অ্যাসিড, ডোকোসাহেক্সানোয়িক জাতীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে মাছের ডিম চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়াও শিশুদের মস্তিষ্ক ও বুদ্ধির বিকাশে ও বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে মাছের ডিম। কার্বোহাইড্রেট ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে ডায়াবেটিস রোগীরাও নির্ভয়ে মাছের ডিম খেতে পারেন বলে জানিয়েছে আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন। মাছের ডিম ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও অ্যানেমিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন

দিনের কোন সময় ওটস খেলে মিলবে উপকার, কী বলছে গবেষণা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version