সারা বছর ধরে বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে। একটা পুজো চলে গেলে, আবার একটা পুজো আবার কবে আসবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে। সেই পুজো এসে গেল। উমা বাপের বাড়িতে পা দিলেন বলে। আর চার দিন পরেই শুরু হয়ে যাবে দেবীপক্ষ।
প্রতিমাশিল্পীরা দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না। বনেদি বাড়িগুলিতে পুজোর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। কোনো কোনো গৃহস্থবাড়িতে পারিবারিক রীতি অনুযায়ী মা দুর্গার বোধনও হয়ে গিয়েছে। মহানগরীর সর্বজনীন পূজামণ্ডপগুলিতে এখন একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। এরই মধ্যে সুখবর বয়ে আনছে আবহাওয়া। নিয়মিত বৃষ্টি বিদায় নিয়েছে। টুকটাক যা হচ্ছে, তা সারা বছরই হয়ে থাকে।
মহানগরের বিখ্যাত পটুয়াপাড়া কুমোরটুলির ব্যস্ততা এখন দেখার মতো। মা পটুয়াপাড়া থেকে পূজামণ্ডপের পথে রওনা দিতে শুরু করেছেন। তবে এখনও স্টুডিওতে অনেকেই আছেন। তাঁদের আরও সুন্দর করে তুলছেন শিল্পীরা।
মহানগরের বিখ্যাত সর্বজনীন পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখন অনেকেই তাদের পুজো-থিমের প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যস্ত। দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত দুর্গাপুজো ‘ত্রিধারার অকাল বোধন’-এরও পুজোর থিম এবং মিউজিক ভিডিও প্রকাশের অনুষ্ঠানে হল। তাতে উপস্থিত ছিলেন গায়ক ও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র, রাজকুমার আগরওয়াল, অম্লান চক্রবর্তী, রাজীব গোয়েনকা, নুমি মেহতা, শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা, অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার প্রমুখ।
ওদিকে কলকাতার সর্বজনীন পূজামণ্ডপগুলির সুরক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে মহানগরের পুলিশ। লালবাজার সদর দফতরের অন্যতম আধিকারিক সন্তোষ পাণ্ডের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের একটি দল মণ্ডপগুলিতে ঘুরে সব যাচাই করে নিচ্ছেন।
ছবি: রাজীব বসু
আরও পড়ুন
৬২তম বর্ষে ‘আগামীর বাংলা’ তুলে ধরবে ঢাকুরিয়ার বাবুবাগান
টুসু পরবের আঙ্গিকে প্রান্তজনের কথা বলছে এ বারের তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীনের দুর্গাপুজো
৮২তম বছরে সিংহী পার্ক সর্বজনীন তুলে ধরছে রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী কাঠপুতুলের নাচ