সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রোববার রাজধানী ঢাকাসহ দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হানাহানির ঘটনা ঘটে। এই কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ঢাকাসহ ২০টি জেলা-মহানগরে ৯৮ জন নিহত হন। আজ সোমবার নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ১০১ জনে পৌঁছেছে, সিলেটে ১ জন, মানিকগঞ্জে ১ জন ও শেরপুরে ১ জন নিহত হয়েছেন।
আজকের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১০টার আগে ও পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে সরিয়ে দেয়।
ইন্টারনেটের টোটাল শাটডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক ঘোষণায় সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার এ কথা জানানো হয়। সাত দিনের মাথায় ফের গতকাল রোববার ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়। সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর–জি সেবা বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে। ফোর–জি বন্ধ থাকায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না, তখন শুধু টু–জির মাধ্যমে কথা বলা যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়, তবে বন্ধ ছিল ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এছাড়া টিকটকও বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রোববার সরকারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us