নয়াদিল্লি: আজ, সোমবার থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান এবং হিজবুল্লাহর আক্রমণ শুরু হতে পারে। জি সেভেন দেশগুলিকে সতর্ক করে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
দৈনিক টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ইজরায়েলের মাটিতে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ইরানের উপর একটি পূর্বনির্ধারিত হামলার অনুমোদন দিতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং শিন বেট এবং তাদের নিজ নিজ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং রনেন বার, নেতানিয়াহুর ডাকা একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ হারজি হালেভিও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। হানিয়া হত্যায় ইজরায়েলের দায়ী করে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লা গোষ্ঠী। ইরানের তরফেও প্রতিশোধ মূলক প্রস্তুতি চলছে। এ দিকে ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে ঘুটি সাজাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে ইরান-ইজরায়েল বিরোধের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা।
শনিবার ইরান বলেছে, হিজবুল্লা ইজরায়েলি ভূখণ্ডের গভীরে তার আক্রমণ বাড়াবে। শুধু মাত্র সামরিক প্রতিষ্ঠান নয়, তাদের লক্ষ্যবস্তু আরও বেশি কিছু। সম্প্রতি হিজবুল্লা সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার পর উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৩০ জুলাই, ইজরায়েল দক্ষিণ বৈরুটের একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে শুকর এবং পাঁচজন বেসামরিক লোককে হত্যা করে।
এমনিতে ইজরায়েলের গাজা আক্রমণের পর থেকে ইজরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় চালিয়ে আসছে হিজবুল্লা। কিন্তু তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। বলে রাখা ভালো, এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালের গ্রীষ্মে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল ইজরায়েল এবং হিজবুল্লা।
এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েল তার প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, যে কোনও “আগ্রাসন”-এর জন্য “খুব ভারী মূল্য চোকাতে হবে”। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইজরায়েল প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয় পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।” পেন্টাগন বলেছে, তারা মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষা এবং ইজরায়েলকে রক্ষা করতে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনাক্রমের প্রতিক্রিয়া হিসাবে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সমন্বয়ের জন্য জি সেভেন দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।