Homeগাড়ি ও বাইকপশ্চিমবঙ্গকে সামনে রেখে পূর্বভারতে আরও শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে চাইছে অশোক লেল্যান্ড

পশ্চিমবঙ্গকে সামনে রেখে পূর্বভারতে আরও শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে চাইছে অশোক লেল্যান্ড

প্রকাশিত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বভারতের হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি (LCV) বাজারে আরও জোরদার উপস্থিতি তৈরি করতে চায় অশোক লেল্যান্ড (Ashok Leyland)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এমনটাই জানালেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট (হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি, আন্তর্জাতিক অপারেশন, প্রতিরক্ষা এবং পাওয়ার সলিউশন) আমনদীপ সিং।

পশ্চিমবঙ্গের বাজারের উপর জোর দিয়ে গোটা পূর্বভারতে নিজের তৈরি হালকা বাণিজ্যিক গাড়ির অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার কৌশলগত উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থা অশোক লেল্যান্ড। কারণ, পূর্বভারতে সংস্থার মোট গাড়ি বিক্রির ৫০ শতাংশই হয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, পরিকাঠামো সম্প্রসারণ এবং এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক গাড়ির ক্রমশ বেড়ে চলা চাহিদাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে সংস্থা।

পূর্বাঞ্চলে একটি গতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য সংস্থা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় অশোক লেল্যান্ড। পাশাপাশি সর্বোত্তম হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি (এলসিভি) সম্ভার এবং পরিষেবা জোগানের প্রতিশ্রুতি রক্ষার তাগিদও রয়েছে। এই পদক্ষেপটি অশোক লেল্যান্ডের সেই মিশনেরই একটি অংশ।

পশ্চিমবঙ্গের বাজার সম্পর্কে একাধিক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রাখছে সংস্থা। তাদের মতে, এ রাজ্যে সমৃদ্ধশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে উল্লেখযোগ্য গ্রাহকসংখ্যা এবং বিনিয়োগের জন্য অতিথিপরায়ণ পরিবেশ। এ ধরনের কারণগুলিকে সামনে রেখেই এই অঞ্চলের বাজারে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বেশ কিছু কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাণিজ্যিক গাড়ি বাজারে সংস্থার উপস্থিতি আরও মজবুত হবে, অন্য দিকে এই অঞ্চলের পরিবহণ চাহিদাও আরও সহজে মেটানো সম্ভব হবে।

আমনদীপ এ দিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারত সবসময়ই আমাদের জন্য একটি বড়ো বাজার। আমরা ধারাবাহিক ভাবে এখানে সম্ভাব্যতা দেখেছি এবং সামনের সুযোগকে কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি। আমরা পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আমাদের জন্য মূল বাজার। এই অঞ্চলের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে উচ্চ-মানের হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি এবং পরিষেবা সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “হালকা বাণিজ্যিক গাড়ির বাজার আগামী কয়েক বছরে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এর নেপথ্যে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। প্রথম কারণটি হল ই-কমার্স। যা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডোর-টু-ডোর পণ্য সরবরাহে জোর দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমাদের খরচের ধরনও একটা নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রচুর পরিমাণে প্যাকেজ করা পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে এই প্যাকেজ করা পণ্যের পরিবহণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে এই ধরনের গাড়ির চাহিদা বেড়েই চলেছে”।

আরও পড়ুন: আইএসএল: পিছিয়ে থেকে জিতল মোহনবাগান, জামশেদপুরকে হারিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়  

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

কলকাতা-গুয়াংঝাউ উড়ান চালু, ভারত-চিনের সম্পর্কে উষ্ণতার ইঙ্গিত

কলকাতা: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার শুরু হল ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

আরও পড়ুন

দীপাবলিতে বিনিয়োগকারীদের উপহার! চারটি নতুন ডিজিটাল অ্যাপ ও আধুনিক ফিচার নিয়ে এল NSE

এনএসই দীপাবলিতে চালু করল চারটি নতুন মোবাইল অ্যাপ ও এনএসই এমএফ ইনভেস্ট প্ল্যাটফর্মে বড়সড় আপডেট। বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সহজ হল পোর্টফোলিও ট্র্যাকিং, অর্ডার প্লেসমেন্ট ও কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়া।

বিশ্বের অন্যতম দুর্বল পেনশন ব্যবস্থার তালিকায় ভারত, মার্সার রিপোর্টে উদ্বেগজনক তথ্য

মার্সার সিএফএ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল পেনশন ইনডেক্স ২০২৫-এ বিশ্বের অন্যতম দুর্বল পেনশন ব্যবস্থার তালিকায় স্থান পেল ভারত। দেশটির রেটিং ‘Grade D’, যেখানে পেনশন কাঠামোয় বড় ঘাটতি নির্দেশ করেছে রিপোর্ট।

ইপিএফও সদস্যদের জন্য বড় পরিবর্তন: সহজ হল টাকার তোলার নিয়ম

ইপিএফও-র নতুন নিয়মে টাকার তোলার প্রক্রিয়া সহজ হলো। এখন মাত্র তিনটি কারণে টাকা তোলা যাবে — প্রয়োজনীয় চাহিদা, বাসস্থান ও বিশেষ পরিস্থিতি। শিক্ষায় ১০ বার এবং বিবাহে ৫ বার পর্যন্ত আংশিক অর্থ তোলা যাবে।