Home খবর বিদেশ দুই শিশুর চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল বিরল প্রজাতির চিংড়ির

দুই শিশুর চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল বিরল প্রজাতির চিংড়ির

0

চার বছরের পার্কার আর তিন বছরের জাচারি, দুই ছেলেকে নিয়ে বাজারে কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন ড্যানিয়েল মোরালেস। নিউইয়র্কের ক্লিফটন পার্কের বাজারে গিয়েই মায়ের কাছে চিংড়িমাছ দেখবে বলে জেদ ধরে দুই শিশু।

দুই ছেলেকে নিয়ে ড্যানিয়েল হাজির হন মাছের বাজারের সেই জায়গায় যেখানে চিংড়িমাছ বিক্রি হচ্ছিল। পার্কার ও জাচারি লবস্টার ট্যাঙ্কের দিকে যায়। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির জীবন্ত চিংড়ি বিশেষত গলদা চিংড়ি ছিল। আচমকাই দুই শিশু চিংড়ি মাছের ট্যাঙ্কে একটি নীল রঙের চিংড়িমাছ দেখতে পায়। মাকে চিংড়িটি দেখায়। ড্যানিয়েল বুঝতে পারেন এই চিংড়িমাছ অত্যন্ত বিরল প্রজাতির চিংড়ি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক মারফত চিংড়ির ছবি তুলে নিউইয়র্কের বিখ্যাত ভায়া অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ ড্যানিয়েলকে জানায় এটি বিরল প্রজাতির চিংড়ি। তিনি এই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে মাছ বিক্রেতাকে জানান যাতে তিনি মাছ বিক্রি না করেন। ভায়া অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের সদস্যরা বাজারে পৌঁছে উদ্ধার করেন বিরল প্রজাতির চিংড়িমাছকে। আপাতত সে বহাল তবিয়তে আছে অ্যাকুয়ারিয়ামে।

পার্কার ও জাচারি জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্রের নামে চিংড়ির নাম প্রথমে দিয়েছিল লবস্টার ব্লুয়েই। পরে বদলে রাখে ব্যান্ডিট। জিনগত কারণে চিংড়ি মাছের গায়ের রঙ কমলা, নীল, সাদা হয়। কমলার মতোই নীল রঙের চিংড়িও অত্যন্ত বিরল।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version