ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকাবাল শহরের মেয়ারিম নদীতে সংবাদ সম্প্রচারের সময় এক ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন এক সাংবাদিক। লাইভ সম্প্রচারের মাঝেই তিনি হঠাৎ থমকে দাঁড়ান। মুহূর্তেই স্পষ্ট হয়, তিনি ভুলবশত নদীর জলে নিখোঁজ এক কিশোরীর মৃতদেহের উপর পা রেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ৩০ জুন, নদীর জলে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী রাইসা-কে খুঁজতে গিয়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক লেনিল্ডো ফ্রাজাঁও ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীর গভীরতা দেখাতে নামেন জলে। chest পর্যন্ত জলে পৌঁছে হঠাৎই তিনি আঁতকে ওঠেন। ক্যামেরার সামনেই বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, এখানে জলের নিচে কিছু একটা আছে… দেখলাম যেন একটা হাত! ও কি রাইসা? না হলে হয়তো মাছ!”
পরে যখন দমকল বিভাগের ডুবুরিরা ফের তল্লাশি শুরু করেন, ঠিক সেই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয় নিখোঁজ রাইসার দেহ। তার মৃত্যুকে আপাতত দুর্ঘটনাজনিত ডুবে মৃত্যু বলেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
El periodista Lenildo Frazão descubrió accidentalmente el cadáver de Raíssa, de 13 años
— @ALTOS_NOTICIASpy (@Altosnoticiasp1) July 21, 2025
▪️Cubría el caso de una niña de 13 años desaparecida en un rio de #Brasil. Mientras hacía el reportaje pisó el cuerpo que estaba enganchado en el fondo del río. pic.twitter.com/LuVj01Djn3
জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক স্কুলের ছাত্রী রাইসা (পুরো নাম প্রকাশ করা হয়নি) বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সেই নদীর প্রবাহ অত্যন্ত তীব্র এবং নদীর তলায় বিভিন্ন গভীর গর্ত রয়েছে, যেগুলিতে সহজেই আটকে যেতে পারে মানুষ। সেই বিষয়টিও রিপোর্টে তুলে ধরেছিলেন ফ্রাজাঁও।
রাইসার দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর স্কুল তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বন্ধু ও পরিজনেরা কিশোরীর স্মৃতিতে ফুল ও প্রার্থনা অর্ঘ্য দিয়েছেন।
সাংবাদিক ফ্রাজাঁও এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর সংস্থা জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই রিপোর্ট করতে গিয়েছিলেন এবং সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনেই কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ১ আগস্ট থেকে বদল UPI-তে! দিনে কতবার ব্যালেন্স দেখবেন, কোন সময়ে অটো-পে চলবে—জানুন নতুন নিয়ম