গাজা সংঘাত নিরসনে মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পের নেতৃত্বকে আমরা স্বাগত জানাই। পণবন্দিদের মুক্তির ইঙ্গিত একটি বড় পদক্ষেপ। ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির জন্য ভারত সবসময় এই প্রচেষ্টার পাশে থাকবে।”
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের গাজা শান্তি প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মোদী। তিনি বলেছিলেন, এই উদ্যোগ ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি কার্যকর পথ খুলে দেয়। তাঁর বক্তব্য পরে ট্রাম্প নিজেও শেয়ার করেছিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ।
হামাস শুক্রবার রাতে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেনে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— যুদ্ধের অবসান, ইজরায়েলের সেনা প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময়, ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজা থেকে উচ্ছেদ না করার প্রতিশ্রুতি। এর আগে ট্রাম্প আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন রবিবার সন্ধ্যা ৬টার (মার্কিন সময়) মধ্যে প্রস্তাব মেনে না নিলে “সম্পূর্ণ নরক” তৈরি করবেন।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ছিল স্পষ্ট। তিনি ইজরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং দাবি করেন, হামাস এখন “স্থায়ী শান্তির” জন্য প্রস্তুত। বলেন ট্রাম্প, “এই মুহূর্তে পণবন্দিদের নিরাপদে বের করা খুবই বিপজ্জনক। তাই ইজরায়েলকে বোমা ফেলা বন্ধ করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে বিশদ রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। এটা শুধু গাজার নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তির বিষয়।”
তিনি একটি ভিডিও বার্তায় কাতার, তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর, জর্ডনসহ একাধিক দেশকে ধন্যবাদ জানান মধ্যস্থতার জন্য। ট্রাম্প বলেন, “এটা এক ঐতিহাসিক দিন। আমরা শান্তির খুব কাছে পৌঁছে গেছি। সকল পক্ষকে ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করা হবে।”
এই নাটকীয় অগ্রগতির পর বিশ্ব রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের আংশিক সম্মতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে এর বাস্তবায়নই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।