২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর নিরলস সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রচেষ্টার জন্যই তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
শুক্রবার অসলোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করেন নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ইয়ার্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে নিরলস লড়াই এবং স্বৈরাচার থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে।”
এই বছর মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল—এর মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি সংস্থা।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো: ভেনেজুয়েলার আশার প্রতীক
ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক ইতিহাসে মাচাদো পরিচিত একজন সাহসী বিরোধী নেত্রী হিসেবে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বহু গণআন্দোলন আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনায় উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের আশায় জল
এ বছরের পুরস্কার ঘিরে শুরু থেকেই ছিল প্রবল জল্পনা—বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে ঘিরে। নিজেকে শান্তির দূত বলে দাবি করে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেন যে, তিনি “নোবেল পাওয়ার যোগ্য”।
একাধিক দেশ—ইজরায়েল, পাকিস্তান, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—তাঁর নাম মনোনয়ন করেছে বলেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু নোবেল কমিটি ট্রাম্পের আগ্রাসী প্রচার বা রাজনৈতিক চাপে প্রভাবিত হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি না ওরা কী করবে, কিন্তু আমি জানি—আমি নয় মাসে আটটা যুদ্ধ থামিয়েছি। ইতিহাসে এর আগে কেউ পারেনি।”
তবে শেষ পর্যন্ত নোবেল শান্তি পুরস্কার যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে দৃঢ় সংগ্রামরত এক নারী নেত্রীর হাতেই পৌঁছাল।