ফের এক বার প্যালেস্তেনীয়দের জোর করে বাস্তুচ্যুত করার বিরোধিতা করল চিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বুধবার এই প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন জানান, “গাজা প্যালেস্তেনীয়দের অঞ্চল এবং এটি প্যালেস্তাইনের অবিচ্ছেদ্য অংশ… আমরা গাজার জনগণকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করার বিরোধিতা করি।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে সেখানকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে হোটেল ও অফিস নির্মাণ। তবে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজার বর্তমান বাসিন্দাদের জর্ডন বা মিসরের মতো প্রতিবেশী দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জর্ডন ও মিসর উভয়েই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতারাও সমালোচনা করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এই প্রস্তাবকে ‘কেলেঙ্কারি’ বলে অভিহিত করেছেন। উত্তর কোরিয়াও ট্রাম্পের প্রস্তাবের সমালোচনা করে একে ‘হত্যা ও ডাকাতির’ পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছে।
এ দিকে, আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বুধবার স্পষ্টভাবে গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে প্যালেস্তেনীয়দের বাস্তুচ্যুতির বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে বক্তৃতা করার সময় তিনি বলেন, “আজ গাজায় যে ঘটনা ঘটছে, আগামী দিনে তা পশ্চিম তীরে ঘটানোর চেষ্টা হবে। মূল উদ্দেশ্য হল প্যালেস্তাইন থেকে তার ঐতিহাসিক অধিবাসীদের থেকে বিতাড়ন করা।”
তিনি আরও বলেন, “আরব বিশ্ব এই ধারণার বিরুদ্ধে ১০০ বছর ধরে লড়াই করেছে এবং এখনও তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”