১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের মাঝে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। ইজরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজরায়েলের জেলে থাকা প্যালেস্টাইন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চুক্তিটি শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তার পর ইজরায়েলের উচ্চ আদালতের অনুমোদনের জন্য যাবে। চুক্তি আদালতের অনুমোদন পেলেই তা আগামী রবিবার থেকে কার্যকরী হবে। তবে উচ্চ আদালত এতে হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা কম।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাস প্রথম ৪২ দিনে ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে। এর মধ্যে শিশু, নারী (যেমন মহিলা সেনা), এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইজরায়েল প্রতি মহিলা সেনার বিনিময়ে ৫০ জন প্যালেস্টাইন বন্দি এবং প্রতিটি মহিলা অসামরিক বন্দির জন্য ৩০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিকগুলি বিবেচনা করে এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক বলে মনে করে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।”
চুক্তির আলোচনায় বিলম্ব হওয়ায় সম্ভাব্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বিশেষত নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী জোটের বিরোধিতার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। তবে শেষপর্যন্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলে।
হামাসের মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের নাম প্রকাশ করা হবে কেবল তাদের ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর। তবে ইজরায়েলে মুক্তি পেতে যাওয়া প্যালেস্টাইন বন্দিদের তালিকা ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
এই চুক্তি ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী দ্বন্দ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কতটা শান্ত হবে, তা সময়ই বলে দেবে।