Home খবর বিদেশ গাজা উপত্যকায় ফের আঘাত ইজরায়েলের, বাড়ল বিমান ও ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ

গাজা উপত্যকায় ফের আঘাত ইজরায়েলের, বাড়ল বিমান ও ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ

0

দক্ষিণ এবং মধ্য গাজা উপত্যকায় ফের আঘাত ইজরায়েলের। হামাসের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে, সপ্তাহান্তে জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছিল ইজরায়েল। যার ফলে একটি অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অসংখ্য পালেস্তেনীয় নিহত হয়।

ইজরায়েলি হামলার দুই দিন পর ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের কাছে মাওয়াসির একটি জনাকীর্ণ এলাকা জ্বলন্ত গাড়ি এবং ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ সঙ্গী করে বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত হয়। বাস্তুচ্যুত বেঁচে যাওয়া লোকেরা বলেছিল, এরপর তারা কোথায় যাবে, সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই।

রয়টার্সের একটি রিপোর্টে ওই এলাকার মানুষের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আয়া মহম্মদ নামে মাওয়াসির বাজারের এক দোকানদার মোবাইল টেক্সট মেসেজে জানান, “সেই মুহূর্তে আমার পায়ের নীচে মাটি কেঁপে উঠেছিল এবং ধুলো আর বালিতে ঢেকে গিয়েছিল আকাশ। আমি টুকরো টুকরো মৃতদেহ দেখে শিউরে উঠেছিলাম। এ রকম আমি আমার জীবনে দেখিনি”।

বছর তিরিশের ওই যুবক আরও জানান, “সবাই একে অপরকে জিজ্ঞাসা করে, এরপর কোথায় যাবে। কিন্তু কারো কাছে এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।”

খান ইউনিসের পশ্চিম উপকণ্ঠে মাওয়াসি কয়েক হাজার পালেস্তেনীয়কে আশ্রয় দিচ্ছে। ইজরায়েল এটিকে নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করার পরে অনেক মানুষের এই অঞ্চলে পালিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই এলাকাও এখন আর নিরাপদ নয়। ইজরায়েল বলেছে যে শনিবার সেখানে তাদের হামলা হামাসের সামরিক কমান্ডার মহম্মদ দেইফকে লক্ষ্য করে, যিনি গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন।

পাশাপাশি, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা একটা উন্মুক্ত এলাকায় আঘাত করেছিল। যেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং শেড রয়েছে। এগুলিকে হামাসের দ্বারা পরিচালিত একটি ঘাঁটি বলে দাবি করে ইজরায়েলি সেনা বলেছে, সেখানে সাধারণ মানুষের কোনো আশ্রয়শিবির ছিল না।

পালেস্তেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার অন্তত ৯০ জন নিহত এবং বহু শতাধিক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে রয়টার্সের সাংবাদিকরা হত্যাকাণ্ডের ছবিও ক্যামেরাবন্দি করেছেন। যেখানে বাসিন্দারা আগুন ও ধোঁয়ার মধ্যে আহত ব্যক্তি ও মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন।

সোমবার নতুন করে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে রাফাহের বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছে, শহরের পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অংশে ইজরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকটি বাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে। চিকিৎসা আধিকারিকরা বলেছেন, তাঁরা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইজরায়েলি হানায় নিহত পালেস্তেনীয়দের ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে কিছু ইতিমধ্যেই পচতে শুরু করেছে।

সামরিক বাহিনী মধ্য গাজার আল-বুরেইজ এবং আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরেও বিমান ও ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণ বাড়িয়েছে। চিকিৎসা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মাগাজি ক্যাম্পের একটি বাড়িতে ইজরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ পালেস্তেনীয় নিহত হয়েছে।

পালেস্তেনীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের শুরুতে মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসিরাত ক্যাম্পের একটি বাড়িতে ইজরায়েলি বিমান হামলায় ১১ পালেস্তেনীয় নিহত হয়েছে।

চিহ্ন, ইজরায়েলি আমাদের জোড়া বলেছে যে বিমান ধাজা গাজা স্থায়ী কয়েকটি পালেস্তেনীয় লক্ষণ লক্ষ্যবস্তে এগিয়েছে এবং অনেক বন্দুক বন্দীকে চাপ দিয়েছে। টানাটানে বলা হয়েছে, বাধা রাফাহ এবং মধ্য গাজায় বন্দুকধারীদের উপরে, কখনও কখনও লড়াইও করা হয়েছে। নিরীহ পরিস্থিতির অভিযোগ করেছে ইজরায়েল।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘকালের সম্পর্ককে কাজে লাগাক ভারত, চাইছে আমেরিকা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version