নেপালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মহারাষ্ট্রের ৪১ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন। শুক্রবার রাতে তিনি এ খবর জানান। নেপালে একটি পর্যটকবাহী বাস মারশিয়াংড়ি নদীতে পড়ে যায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাসের অধিকাংশ পর্যটক মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, মৃতদেহগুলি দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হয়েছে। এই কাজের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার দিল্লির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে এবং ভারতীয় বায়ুসেনা এই দেহগুলি কপ্টারের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে। শনিবারই ২৪টি দেহ মহারাষ্ট্রের নাসিকে নিয়ে আসা হবে এবং সেখান থেকে পরিবারের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। বাসটি উত্তরপ্রদেশের রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত এবং শুক্রবার বেলায় পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নেপালের তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে বাসটি আচমকাই উল্টে পড়ে যায়। নেপালের খরস্রোতা নদীতে বাসটিকে নিমজ্জিত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তোলে। উদ্ধারকর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও বেশিরভাগ যাত্রীদের বাঁচাতে পারেননি।
নেপালের নদীতে পড়ে গেল ভারতীয় যাত্রীবোঝাই বাস, মৃত অন্তত ১৪
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দেহগুলি দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রীরা নেপালের পোখরা শহরের একটি রিসর্টে ছিলেন এবং কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এখনও পরিষ্কার নয় কীভাবে বাসটি রাস্তা থেকে সোজা নদীতে পড়ে গেল। নেপালের প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।