গাজায় একযোগে ত্রিমুখী হামলার পরিকল্পনায় ইজরায়েল। স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলার জন্য তৈরি ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ সপ্তম দিনে গড়াল। গত শনিবার (৭ অক্টোবর, ২০২৩) আকস্মিক ভাবে ইজরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তার পর ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করে ইজরায়েল। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ঘোষণা করেছে যে তারা গাজা উপত্যকায় বিমান, স্থল এবং নৌবাহিনী নিয়ে একটি “সমন্বিত” আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা সীমান্তের কাছে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “আরও আসছে”। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরই প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিবৃতিতে একযোগে আক্রমণের কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, গতকাল রাতে তারা হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডার বিলাল আল-কেদরাকে হত্যা করেছে। হামাসের অভিজাত সামরিক শাখা নুখবা বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ছিলেন বিলাল। তিনি দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুতজ নিরিম এবং নির ওজের উপর মারাত্মক হামলার জন্য অভিযুক্ত। এ ছাড়াও আইডিএফ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের পাশাপাশি প্যালেস্তেনীয় ইসলামিক জিহাদের অন্য চক্রীদেরও নির্মূল করা হয়েছে”।
ইতিমধ্যে ইজরায়েল-হামাস আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে নিহতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের পার হয়েছে। ইজরায়েলে হামাসের অপ্রত্যাশিত আক্রমণে ১৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় বিমানহামলায় ২২৫০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের স্থল আক্রমণের ভয়ে হাজার হাজার প্যালেস্তেনীয় উত্তর গাজা থেকে পালাতে শুরু করেছেন।
অন্য দিকে মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, অপহৃত ইজরায়েলিদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার শুরু করেছে হামাস বাহিনী। আর তাদের এই মোক্ষম চালেই ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হচ্ছে অপহৃত সেই ইজ়রায়েলিদেরই! শনিবারই ইজরায়েলের হামলায় গাজ়ায় বন্দি ন’জন ইজ়রায়েলির মৃত্যু হয়েছে। ফলে হামাসের এই কৌশল ভাবিয়ে তুলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনাকে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে কি? খোলসা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী