জেরুজালেম: শুক্রবার এক হামলায় হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি বাহিনী । এই হামলায় লেবাননের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে অবস্থিত হিজবুল্লা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১২ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইব্রাহিম আকিল, যিনি ১৯৮৩ সালে বেইরুটে মার্কিন দূতাবাস বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর খোঁজে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হিজবুল্লার ‘রাদওয়ান’ ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএফপি সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ফলে একটি বহুতল ভবনের নিচের তলাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে একটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
এই হামলায় আকিলের মৃত্যু হিজবুল্লার জন্য বড় ধাক্কা, কারণ এটি গাজার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হিজবুল্লার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার মৃত্যু। এর আগে জুলাই মাসে ইজরায়েলের আরেকটি হামলায় ফুয়াদ শুকর নামে আরেকজন হিজবুল্লা কমান্ডার নিহত হয়েছিলেন।
এছাড়াও, মঙ্গলবার এবং বুধবার হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত যোগাযোগ ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরণের দুটি ঢেউ হয়েছিল, যেগুলোর জন্য হিজবুল্লা ইজরায়েলকে দায়ী করেছিল। সেই বিস্ফোরণগুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি “টার্গেটেড স্ট্রাইক” চালিয়েছিল, যার ফলে আকিলসহ রাদওয়ান ইউনিটের প্রায় ১০ জন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই হামলায় মোট ১২ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলে শুক্রবারই ১৪০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লা। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লা, উভয় পক্ষ থেকেই এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সংগঠনের নেতা হাসান নাসরাল্লা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাতের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, রকেট হামলা তিনটি দফায় শুক্রবার বিকেলে চালানো হয়, যা লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন বেশ কয়েকটি স্থানকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। হিজবুল্লার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইজরায়েলের বেশ কয়েকটি এয়ার ডিফেন্স ঘাঁটি ও একটি সাঁজোয়া ব্রিগেডের সদর দফতরকে লক্ষ্য করে প্রথম বারের মতো কাতিউশা রকেটের মাধ্যমে নিশানা করেছে।হিজবুল্লা আরও জানিয়েছে, ইজরায়েলের সাম্প্রতিক বোমা হামলায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।