তুরস্ক, সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। রবিবার পর্যন্ত তুরস্কে ২৪,৬১৭ এবং সিরিয়ায় সাড়ে চার হাজার জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দুই দেশের প্রশাসন। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধুই ধ্বংসের ছবি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ। তুষারপাত, হিমশীতল আবহাওয়ায় কাজ করে চলেছেন উদ্ধারকারীরা।
এরই মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে ত্রাণ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের আশঙ্কা, “মৃতের সংখ্য়া কোথায় পৌঁছবে তা এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট ভাবে বলা কঠিন। কারণ এর জন্য ধ্বংসস্তূপের নিচ পর্যন্ত যাওয়া দরকার। তবে আমার ধারণা, সংখ্যাটি দ্বিগুণ বা তার বেশিও হতে পারে”।
শনিবার তুরস্কের দক্ষিণের শহর কাহরামানমারাসে পৌঁছেছেন গ্রিফিথস। গত সোমবার ভোরে প্রথম ৭.৮ মাত্রার কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল এই শহর। লক্ষাধিক জীবনকে উল্টে দেওয়া সেই বিপর্যয়ে কার্যত ‘মৃত্যু উপত্যকা’য় পরিণত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
উল্লেখ্য, ৮৪ বছর আগে এমনই ভূমিকম্প বীভৎসতা-ধ্বংসলীলা তুরস্কের পাশাপাশি বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তখনও মৃতদেহের স্তূপে ছিল ৩৩ হাজার সংখ্যা। তখন-এখন সবটাই সরকারি তথ্য, হয়তো বা বাড়তেও পারে। তবে এ বার মৃতের সংখ্যা অনুমানকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
অন্য দিকে, রবিবার তুরস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ভবন ধসের জন্য দায়ী সন্দেহভাজন যে কারও বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চলবে। ইতিমধ্যে ১১৩ জন সন্দেহভাজনকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আঙ্কারায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কেন্দ্রে এ কথা জানান তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় জালিয়াতি করলে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’, কড়া আইন উত্তরাখণ্ডে