ভারত, রাশিয়া এবং চিনের সম্পর্ক নিয়ে ফের সরব হলেন মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্তরের নেতা। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক দাবি করলেন, আগামী এক-দু’মাসের মধ্যেই ভারত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তাঁর মন্তব্য, “আমি মনে করি হ্যাঁ, এক-দু’মাসের মধ্যেই ভারত আলোচনার টেবিলে আসবে, ক্ষমা চাইবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করবে।”
লুটনিক আরও বলেন, “তারপর সেটা ট্রাম্পের ডেস্কে যাবে—তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কীভাবে বিষয়টি সামলাবেন, সেটা তিনিই ঠিক করবেন। এটাই তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুরুত্ব।”
এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন—“দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারালাম চিনের কাছে। তারা একসঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কাটাক।” এর সঙ্গে তিনি শেয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি পুরনো ছবি।
ট্রাম্প আরও কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “ভারতকে বেছে নিতে হবে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করবে, নাকি রাশিয়া ও চিনের পাশে দাঁড়াবে। তারা ব্রিকসে রাশিয়া ও চিনের মাঝে ‘স্বরবর্ণ’। যদি ওটাই হতে চাও, তবে তাই হও।”
লুটনিকও একই সুরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “হয় ডলারকে সমর্থন করবে, আমেরিকাকে সমর্থন করবে, তোমাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা—আমেরিকান ভোক্তাকে সমর্থন করবে, নয়তো ৫০% শুল্ক গুনতে হবে। দেখা যাক এটা কতদিন টেকে।”
সব মিলিয়ে, ব্রিকসের রাজনৈতিক ভারসাম্য নিয়ে যেমন চাপানউতোর বাড়ছে, তেমনই ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অবস্থান নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us