তেহরান-সহ ইরানের একাধিক শহর জুড়ে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল গোটা দেশ। শুক্রবার ভোররাতে ইজরায়েল এক বৃহৎ সামরিক অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু ও সামরিক কেন্দ্রগুলি। সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ, মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলের এক সামরিক আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন, এই অভিযানে “ডজন ডজন স্ট্রাইক” অন্তর্ভুক্ত ছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কেন্দ্রীয় ইরানের নাটান্জ শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত। তিনি আরও বলেন, ইরান এখন এতটাই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে যে, “মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তারা ১৫টি পরমাণু বোমা তৈরি করতে সক্ষম।”
এই হামলার পেছনে রয়েছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) সম্প্রতি ইরানকে তিরস্কার করেছে পরিদর্শকদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার জন্য। জানা গেছে, ইরান নতুন করে আরও একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে এবং আরও উন্নত সেন্ট্রিফিউজ বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
ইজরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে এসেছে যে, তারা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না। যদিও তেহরান দাবি করেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র বানাতে চায় না। কিন্তু ইজরায়েলি সেনা বাহিনী জানিয়েছে, গোপন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ইরান এখন “নো রিটার্ন পয়েন্ট”-এ পৌঁছে গিয়েছে।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) জানিয়েছে, “ইরান হাজার হাজার কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে, যা ফোর্টিফায়েড আন্ডারগ্রাউন্ড কেন্দ্রে ছড়িয়ে রয়েছে। এই কারণে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে।”
IDF আরও বলেছে, “আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে আমরা আর কোনো বিকল্প দেখছি না।”
এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা নিয়ে নজর রয়েছে বিশ্বজুড়ে।