Home খবর কলকাতা বেহালায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, জমা জলে দাঁড়িয়ে দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে বিপদ

বেহালায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, জমা জলে দাঁড়িয়ে দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে বিপদ

নেতাজিনগরের মৃত্যুর কয়েক দিনের মাথায় বেহালায় ফের একই চিত্র। বিদ্যুতের ত্রুটি ও শহরের জলাবদ্ধতা মিলে কলকাতার নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বারবার। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় এবারও কাঠগড়ায় সিইএসসি এবং নগর পরিকল্পনার খামতি।

Kolkata Electrocution

কলকাতায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটল। শনিবার সকালে বেহালা-সরশুনা এলাকায় দোকানের শাটার খোলার সময় প্রাণ হারালেন ৬৬ বছরের শ্রাবন্তী দেবী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের সামনে জমা জলে দাঁড়িয়ে তিনি শাটার তোলার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই শাটারে বিদ্যুতের প্রবাহ লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিইএসসি-র দাবি, দোকানের ছাদের টিন শেডে লাগানো একটি আলোর তার সঠিকভাবে বসানো ছিল না। সেই বিদ্যুৎবাহী তারের সংযোগ থেকেই শাটারে কারেন্ট ছড়ায়। আর জমা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকায় বিদ্যুতের প্রবাহ আরও দ্রুত হয়।

এই ঘটনার কয়েক দিন আগে প্রবল বর্ষণে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। নেতাজিনগরে জমা জলে দাঁড়িয়ে রাস্তার লাইটপোস্টে হাত দেওয়ায় এক ফলবিক্রেতা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। একই ঘটনায় প্রাণ হারায় একটি কুকুরও। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই দৃশ্য শহরবাসীকে শিউরে তুলেছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবারের বৃষ্টির পর বেহালার বেশ কয়েকটি রাস্তায় এখনও জল জমে রয়েছে। প্রতিদিন সেই জলের উপর দিয়েই যাতায়াত ও দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে মানুষকে। শনিবারও শ্রাবন্তী দেবী জলমগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দোকান খোলার চেষ্টা করছিলেন। যদিও সরাসরি জলে বিদ্যুতের সংস্পর্শ ছিল না, কিন্তু শাটারের ত্রুটিপূর্ণ সংযোগই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে দাবি বাসিন্দাদের।

এক সপ্তাহের মধ্যেই জলাবদ্ধতা ও বিদ্যুতের খামতির কারণে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে শহরের নাগরিক নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়েই।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে ডেঙ্গির থাবা, শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগী

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version