ই এম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট এখন নিত্যদিনের সমস্যা। বিশেষত অফিস টাইমে যানবাহনের ধাক্কায় নাজেহাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কেএমডিএ চিংড়িঘাটা মোড় থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনা নেয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মোড় সংলগ্ন চারটি বহুতল এবং দোকানঘর।
অবশেষে কেএমডিএ সেই জট কাটিয়ে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করল। চিংড়িঘাটার ঠিক পাশেই সুকান্তনগর কলোনির সরকারি জমিতে তৈরি হবে একটি পাঁচতলা আবাসন ভবন, যেখানে ওই বহুতলের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আপাতত একটি বহুতলের ৪-৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন দিতে দ্বিতল একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। টেন্ডার ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে, এবং বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার বেশি।
জানা গেছে, প্লট নম্বর ১২, ১৩ এবং ১৪ মিলিয়ে তৈরি হবে ওই ভবন। নিচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। পাশাপাশি যেসব দোকান ভাঙা পড়বে, তাদের জন্য নতুন দোকান নির্মাণ ইতিমধ্যেই অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তা হস্তান্তর করা হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই চারটি বহুতল ভেঙে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হবে। চিংড়িঘাটা মোড় থেকে সায়েন্স সিটিগামী রাস্তার একটি বড় অংশ খালের উপর অবস্থিত, যেখানে নতুন প্রশস্ত কালভার্ট তৈরি করা হবে। সেই অংশের নির্মাণের জন্য আলাদাভাবে ১৩ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের পরিকল্পনা ইতিমধ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।
যদি সব কিছু ঠিকঠাক চলে, তাহলে দুর্ঘটনা প্রবণ এবং যানজটে জর্জরিত চিংড়িঘাটা মোড় আগামী দিনে পাবে এক নতুন রূপ—স্বস্তির পথেই হাঁটবে শহর কলকাতা।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us