কলকাতার ধর্মতলা, যা একসময়ে ঐতিহাসিক ট্রামলাইনের জন্য পরিচিত ছিল, এখন রূপান্তরের পথে। জোকা-এসপ্লানেড মেট্রো করিডরের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ডাফরিন রোডের ২৫০ মিটার অংশ বন্ধ করে সেখানে মেট্রো টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে।
মেট্রো প্রকল্পের জন্য বিসি রায় মার্কেট এবং দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ড ভেঙে দেওয়া হবে। পাশাপাশি হকারদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। জানা গিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে আধুনিক স্থাপত্যে পুনর্নির্মিত হবে বিসি রায় মার্কেট।
পূর্ব-পশ্চিম (গ্রিন লাইন) এবং উত্তর-দক্ষিণ (ব্লু লাইন) মেট্রোর সংযোগস্থল এসপ্লানেডে নতুন সংযোজন হবে জোকা-এসপ্লানেড করিডর (পার্পল লাইন)। এই লাইন খিদিরপুর থেকে মাটির নিচ দিয়ে এসপ্লানেড পর্যন্ত আসবে। ইতিমধ্যে খিদিরপুর ক্লাব এবং অন্যান্য ময়দানের ক্লাবগুলিকে স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে।
রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) জানিয়েছে, সাময়িক বাজার তৈরি করা হবে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের মাঠে। সেখানে বাজার ব্যবসায়ীদের জন্য জায়গা দেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রায় আট মাস সময় লাগবে।
আরও জানা গিয়েছে, ডাফরিন রোডের বিকল্প পথ তৈরি করা হবে বাস স্ট্যান্ডের জায়গায়। তবে বেসরকারি বাসগুলির জন্য কোনও নির্দিষ্ট জায়গা এখনও চিহ্নিত হয়নি। এসপ্লানেডে তিনটি মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত একটি আধুনিক পরিবহন হাব তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
ধর্মতলার ঐতিহাসিক ডোরিনা ক্রসিং থেকে মাউন্টেড পুলিশ প্যাডক পর্যন্ত এলাকার বড় অংশ ইতিমধ্যে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে। মেট্রোর স্টেশন নির্মাণের কাজের জন্য বিশাল জলাধারটি খালি করা হয়েছে। নির্মাণ শেষ হলে এটি নতুনভাবে পুনর্গঠিত হবে।
এই প্রকল্পটি শুধু কলকাতার পরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিক করবে না, বরং ঐতিহাসিক ধর্মতলা অঞ্চলের সামগ্রিক চেহারাকেও বদলে দেবে।