সাম্প্রতিক সময়ে শহরের ছাদে অবস্থিত রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলিতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর, কলকাতা পুরনিগম কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্ক স্ট্রিট থেকে কসবার অ্যাক্রোপলিস, শহরের বিভিন্ন স্থানে ছাদের উপরে রেস্তোরাঁগুলিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে, শহরের নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে জানিয়েছেন, শহরের যতগুলো আবাসন বা বাড়ির ছাদের উপরে রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে চলছে, বিশেষ করে যেখানে আগুন বা হিটার ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই সব জায়গার সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
মেয়র বলেন, “যেসব জায়গায় অনুমতি ছাড়া এই ধরনের বাণিজ্যিক কাজকর্ম চলছে, সেগুলি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হবে। আর যেগুলির অনুমতি আছে, সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।”
একুশ শতকের সব থেকে বিলম্বিত বর্ষা, অপেক্ষা অবশেষে শেষ হতে চলেছে
পুরনিগম আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বাড়ির ছাদে নতুন রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করে নতুন আইন আনার পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে।
ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, “শহরের ছাদগুলি বর্তমানে বেশির ভাগই বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, যার তথ্য পুরনিগমের কাছে নেই। ফলে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই, ছাদে নতুন রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে তৈরিতে আর কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না।”
গত দুই সপ্তাহে শহরে ঘটে যাওয়া দুটি বড় অগ্নিকাণ্ডের জন্য পুরনিগম এই ধরনের ছাদের রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেগুলিকে দায়ী করছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুরনিগমের কঠোর অবস্থান শহরের বাসিন্দাদের মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে। শহরের বাসিন্দারা আশা করছেন যে এর ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমবে।