আবার সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা। তার সঙ্গেই বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে চলেছে নতুন নিম্নচাপ অঞ্চল— এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। এর প্রভাবে আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৩ জুলাই থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগেও প্রতিদিনই কলকাতা-সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ইতিমধ্যেই রবিবার হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর পশ্চিম এবং উত্তর পূর্ব রাজস্থানে যে নিম্নচাপ রয়েছে, তার থেকেই অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে বাঁকুড়া, কাঁথি হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। অন্যদিকে, উত্তর বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত আরেকটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে রাজ্যে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করছে।
বিশেষত, ২৪ জুলাই উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বুধবার ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
শুক্রবারও ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও সপ্তাহান্তে দুর্যোগের সম্ভাবনা। রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। সোমবারও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে এবং মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই শহরের পথে পথে মিছিল, কোন রাস্তায় গন্তব্যে যাবেন?