খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার ভোরে দমদমের নাগেরবাজার এলাকায় একটি গেঞ্জির কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে বলে দমকলের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান। এই অগ্নিকাণ্ডে কেউ জখম হয়নি বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। খবর পেয়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং দমদম মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান হরেন্দ্র সিংহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ওই গেঞ্জি কারখানাটি যশোর রোডে সরোজিনী নাইডু কলেজের ঠিক পাশেই অবস্থিত। কারখানাটির পাশেই রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার আইসক্রিম কারখানা। ভোররাতে স্থানীয় মানুষজন বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তার পরই আগুন দেখা যায়। ধীরে ধীরে তা পাশের কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করেন, এসি যন্ত্র থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে।

আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল হাজির হয়। তারা ৩টে ৪০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন। প্রথমে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও ১০টি ইঞ্জিন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আগুন নেভানোর কাজে দমকল কর্মীদের সাহায্য করার জন্য স্থানীয় মানুষজনও হাত লাগান। দমকল সূত্রে খবর, কারখানায় কোনো কর্মী আটকে নেই। সকলকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
যে কারখানায় আগুন লাগে, তার পাশে একটি বিয়েবাড়ি, ওষুধ, আসবাবপত্রের গুদাম এবং আরও একটি গেঞ্জির কারখানাও রয়েছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “দাহ্য বস্তু থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরে কিছু বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। পুরোপুরি নেভাতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগতে পারে।”
ছবি: রাজীব বসু