রবিবার দুপুরে অসমের লীলাবাড়ি থেকে কলকাতাগামী একটি অ্যালায়েন্স এয়ার ফ্লাইটকে জরুরি অবতরণ করতে হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। এদিন প্রায় ২৫টি বিমান ভুয়ো বোমা হুমকির মুখে পড়ে, যার মধ্যে ছিল এই ফ্লাইটটিও।
গত এক সপ্তাহে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা এবং আকাশ এয়ারের প্রায় ১০০টি বিমানকে ভুয়ো বোমা সতর্কতার কারণে বিলম্ব বা জরুরি অবতরণের করতে হয়েছে। এসব বিমানগুলি ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, জার্মানির মতো বিভিন্ন দেশ থেকে যাতায়াত করছিল।
বেসামরিক বিমান চলাচল সুরক্ষা ব্যুরো শনিবার অনলাইনে বিভিন্ন বিমান সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করে এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক সূত্র জানা গিয়েছে, ভুয়ো বোমা হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার মধ্যে থাকবে তাদের নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি।
অ্যালায়েন্স এয়ারের লীলাবাড়ি-কলকাতা ফ্লাইটটি রবিবার দুপুর ১২:০১টায় লীলাবাড়ি থেকে উড়ান শুরু করে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল একটি ভুয়ো হুমকি বার্তা পায়। এরপর ২:০২টায় এই ফ্লাইটে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং ২:১৫টায় বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের ফ্রিস্কিং এবং তাদের হাতব্যাগ তল্লাশি প্রক্রিয়া ৩:০৫টায় সম্পন্ন হয়।
এছাড়াও ইন্ডিগো ও ভিস্তারার ছয়টি করে ফ্লাইট ভুয়ো বোমা হুমকির সম্মুখীন হয়। ভিস্তারার ফ্লাইটগুলির মধ্যে ছিল দিল্লি-ফ্রাঙ্কফুর্ট, সিঙ্গাপুর-মুম্বাই, বালি-দিল্লি, সিঙ্গাপুর-পুণে ইত্যাদি। ইন্ডিগোর ফ্লাইটগুলির মধ্যে কোঝিকোড-দাম্মাম, দিল্লি-ইস্তানবুল এবং মুম্বাই-ইস্তানবুল ছিল উল্লেখযোগ্য।
বিমান সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রতিটি বিমানকে বিচ্ছিন্ন বেয়ে নিয়ে গিয়ে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছে।
বোমা হুমকির কারণে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এর ফলে বিমান সংস্থাগুলিকে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে একজন বিমান কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ! দাবি পাকিস্তানি টেলিগ্রাম চ্যানেলে, নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা