নয়াদিল্লি: ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency) লেনদেন এ বার থেকে টাকা পাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় আসবে বলে বুধবার জানিয়ে দিল অর্থমন্ত্রক।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের (virtual digital asset) সঙ্গে জড়িত লেনদেনের মামলা ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ (PMLA) বা টাকা পাচার প্রতিরোধ আইনের ধারায় পরিচালিত হবে। এই পদক্ষেপটি ডিজিটাল সম্পদের তদারকি কঠোর করার জন্য সরকারের নেওয়া সর্বশেষ যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গেজেটে বিনিয়োগকারীদের “একটি ইস্যুকারীর অফার এবং ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের (VDA) বিক্রয় সম্পর্কিত আর্থিক পরিষেবাগুলিতে অংশগ্রহণ এবং শর্তগুলির বিরুদ্ধে” সতর্ক করেছে মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের বিনিময় এবং স্থানান্তরও পিএমএলএ আইনের আওতায় পড়বে।
আয়কর আইন অনুসারে, ক্রিপ্টোগ্রাফিক উপায়ে বা অন্যথায় তৈরি যে কোনো তথ্য, কোড, নম্বর বা টোকেন (ভারতীয় মুদ্রা বা বৈদেশিক মুদ্রা নয়)-কে ‘ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তা সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ-এর একই অর্থ থাকবে যা ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের অনুচ্ছেদ ২-এর ধারা (৪৭এ)-তে দেওয়া হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, পিএমএলএ এবং বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে অনিয়ম নিয়ে তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইতিমধ্যেই কয়েনসুইচ কুবের (CoinSwitch Kuber) এবং ওয়াজিরএক্স (WazirX)-সহ ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলিকে তদন্ত করছে তারা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর কর ধার্য করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয়, ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এ ছাড়াও, ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ স্থানান্তরের উপরও আয়কর আইনের ১৯৪এস ধারার অধীনে উৎসে ১ শতাংশ টিডিএস (TDS) চালু করা হয়েছে।