নয়াদিল্লি: সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath Scheme) সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ল। প্রাক্তন অগ্নিবীরদের (Agniveer) জন্য সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF)-এ শূন্যপদ সংরক্ষণ, বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় সংক্রান্ত একাধিক সংশোধনী ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সিআইএসএফে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিআইএসএফের শূন্যপদ পূরণে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় পাঁচ বছরের ছাড় দেওয়া হবে। পরবর্তী সমস্ত ব্যাচের জন্য এই ছাড় মিলবে তিন বছরের। এ ছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের সিআইএসএফের শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে না। এর জন্য সিআইএসএফ আইন, ১৯৬৮ সংশোধন করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
গত বছরের ১৪ জুন ঘোষণার পর থেকেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঘোষণার পর থেকে উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিকল্পনায় একাধিক বদল এনেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিএসএফে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ
সম্প্রতি প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এ নিয়োগের বিষয়েও একই রকমের ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে (BSF) প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়েছে। পাশাপাশি বয়সসীমাতেও শিথিলতা আনা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ব্যচ এবং অন্য ব্যাচের জন্য এই বয়সসীমা পৃথক। বিবৃতি অনুসারে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, জেনারেল ডিউটি ক্যাডার (নন-গেজেটেড) নিয়োগ বিধি ২০১৫-য় সংশোধনী আনা হয়েছে। কনস্টেবল পদের সঙ্গে সম্পর্কিত অংশে সংশোধনী অনুযায়ী, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ব্যাচের প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য পাঁচ বছর এবং পরবর্তী সমস্ত ব্যাচের জন্য তিন বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় মিলবে। এ ছাড়াও, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, জেনারেল ডিউটি ক্যাডার (নন-গেজেটেড) নিয়োগ বিধি ২০২৩ সংশোধনী অনুযায়ী, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরের কী হবে
প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রকল্পের প্রারম্ভিক ঘোষণায় বলা হয়েছিল, চার বছরের মেয়াদ শেষে শুধুমাত্র ২৫ শতাংশকে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। চার বছর পর অবসরের সময় এককালীন একটা টাকা মিললেও পেনশন এবং অন্য সুবিধা পাবেন না তাঁরা। প্রশ্ন ওঠে, দেশের যুবকদের চাকরির বড়ো ভরসা হল ভারতীয় সেনা। কিন্তু চাকরির স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় থাকছে। চার বছর পর ঘরে ফেরত পাঠানো ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরের কী হবে? এর পর বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ শূন্যপদ সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ISRO YUVIKA: মহাকাশ গবেষণায় অংশ নেওয়ার দারুণ সুযোগ! রেজিস্ট্রেশন শুরু ২০ মার্চ