প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ): মকর সংক্রান্তির দিন মঙ্গলবার ছিল প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে দ্বিতীয় শাহিস্নান। এ দিন সাড়ে ৩ কোটি পুণ্যার্থী সঙ্গমে ডুবকি দেন। এই তথ্য দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
শীত উপেক্ষা করেই এ দিন ভক্তদের ঢল নাম সঙ্গমে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়, সকাল ১০টার মধ্যেই ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ পুণ্যস্নান করেন প্রয়াগরাজে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। পূর্ণকুম্ভে পুণ্যস্নান চলে বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টার মধ্যেই বিভিন্ন আখাড়ার সাধু-সহ প্রায় ৯৮ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর ত্রিবেণি সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারেন।
প্রয়াগরাজে পূর্ণকুম্ভমেলা শুরু হয়েছে সোমবার। সে দিন ছিল পৌষী পূর্ণিমা, প্রথম শাহিস্নান। সে দিনও বহু পুণ্যার্থী সঙ্গমে স্নান করেন। তবে মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিন আরও বেশি করে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। পূর্ণকুম্ভমেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, শিবরাত্রি পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে আরও ৪টি শাহিস্নান আছে। তৃতীয় শাহিস্নান ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমাবস্যায়। তার পরের শাহিস্নান ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন। পঞ্চম শাহিস্নানের দিন হল ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা এবং শেষ শাহিস্নান শিবরাত্রিতে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা প্রয়াগরাজে এসেছেন। এবং আরও আসছেন। বিদেশ থেকেও বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এ বারের মহাকুম্ভে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে। ফলে রাজ্যের অর্থনীতিও এতে ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবে। সরকারের আশা, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে রাজ্যের কোষাগারে অন্ততপক্ষে দু’লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়বে।
পূর্ণকুম্ভমেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ব্যাপক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। উপর থেকে নজরদারি চালানোর জন্য রয়েছে ড্রোন। এমনকি, জলের নীচে নেমে কাজ করতে পারে এমন ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। মেলাপ্রাঙ্গণ জুড়ে অসংখ্য জায়গায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে রাজ্য পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে।


