ব্যাঙ্কে বসেই কোটি টাকার প্রতারণার ছক। বন্ধন ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাই গ্রাহকের তথ্য পাচার করে জড়িয়ে পড়লেন প্রতারণা চক্রে—অভিযোগ এমনটাই। আড়াই কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অবশেষে গ্রেফতার হলেন ওই ব্যাঙ্কের পাঁচ কর্তা।
কীভাবে ফাঁদ পাতত চক্র
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ কল বা SMS—কখনও KYC অসম্পূর্ণ, কখনও আবার ফিক্সড ডিপোজিট বা জীবন বিমার টোপ। এভাবেই একে একে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই গত ২৩ জুলাই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, প্রতারণায় ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা।
তদন্তে চাঞ্চল্য
অভিযোগের তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম উইং খুঁজে পায়, বাইরের চক্র নয়—প্রতারণার জাল বিছিয়েছেন ব্যাঙ্কের ভেতরের লোকজনই। তথ্য পাচারের নেপথ্যে ছিলেন সেলস ম্যানেজার, কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার-সহ একাধিক পদাধিকারী। পুলিশের দাবি, কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাচার করা হচ্ছিল।
কারা ধরা পড়লেন
গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ শাখার CRO, জামতাড়া শাখার CRO, সরাইদেহলা শাখার সেলস ম্যানেজার। এ ছাড়া কলকাতার মেটিয়াবুরুজ শাখার CRO এবং সেলস ম্যানেজারকেও শুক্রবার পাকড়াও করেছে পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গ্রাহকদের তথ্য প্রতারণা চক্রের হাতে তুলে দিতেন। এর ভিত্তিতে একের পর এক গ্রাহককে ফোন করে প্রতারণা চালানো হত। তদন্তে এখনও আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: নিউ গড়িয়ায় বৃদ্ধাকে খুন, গ্রেফতার আয়া-সহ আরও এক