মুম্বই: দলের আট নেতাকে নিয়ে রবিবার মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিলেন এনসিপি-র অজিত পওয়ার। বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিসের মতোই তিনিও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেলেন এ দিন।
এ দিন মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে যোগ দিয়ে শপথ নিলেন অজিত পওয়ার, ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি তাটকরে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশরিফ, ধর্মরাজ বাবারাও আত্রম, সঞ্জয় বানসোডে এবং অনিল ভাইদাস পাতিল। ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোট হওয়ার পর এই নিয়ে চার বার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখল মহারাষ্ট্র।
অজিত পওয়ারকে স্বাগত জানিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, “এখন আমাদের এক জন মুখ্যমন্ত্রী এবং দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এখন ট্রিপল ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য, আমি অজিত পওয়ার এবং অন্যদের স্বাগত জানাই। অজিত পাওয়ারের অভিজ্ঞতা সরকার চালানোয় সাহায্য করবে।”
বিরোধী দলনেতা থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে অজিত পওয়ার বলেন, ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব। তাই তাঁরা উন্নয়নকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা এনসিপি দল হিসেবেই এনডিএ সরকারকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী নির্বাচনগুলিতে এনসিপির প্রতীকেই লড়বেন।
ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অজিত পওয়ার। আর তার পরই এই পদক্ষেপ। এ দিন এনসিপি বিধায়কদের একটি দল অজিত পওয়ারের মুম্বইয়ের বাসভবনে বৈঠক করে। যেখানে দলের কার্যকরী সভানেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এবং সিনিয়র নেতা ছগন ভুজবলও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল।
তবে মুম্বইয়ের এই বৈঠক সম্পর্কে জানতেন বলে দাবি করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তিনি বলেন, “আমি ঠিক জানি না কেন এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তবে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার কারণে, তাঁর (অজিত পওয়ার) বিধায়কদের সভা ডাকার অধিকার রয়েছে। তিনি নিয়মিত এটি করেন। এই বৈঠক সম্পর্কে আমার কাছে খুব বেশি খবর নেই।”
শরদ পওয়ার আরও বলেন, দলের মধ্যে বিদ্রোহ তাঁর কাছে নতুন নয়। তাঁর সতীর্থরা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয়, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন, তা সব মুছে গেল বলে জানিয়েছেন তিনি।
বলে রাখা ভালো, এর আগে ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোটের পরও দলীয় সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন অজিত পওয়ার। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছিলেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগও করেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে ‘চিনা-যোগ’! রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উদ্ধব সেনা, কংগ্রেসের