নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-কে নিয়ে তৈরি বিবিসি (BBC)-র তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মঙ্গলবার বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়্ছে, ‘বিবিসি ডকুমেন্টারি’ (BBC documentary) বিতর্কে অপ্রত্যাশিত মহল থেকে সমর্থন মিলছে। এমনকী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনিও গেরুয়া শিবিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনিল বলেছেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিষয়ে ব্রিটিশ সম্প্রচারকারীর মতামত দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করবে।
সম্প্রতি কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটের ডিজিটাল যোগাযোগ পরিচালনা করেছেন অনিল। তাঁর মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন রাজ্য কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা ঘোষণা করেছে যে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি রাজ্যে প্রদর্শিত হবে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (KPCC) সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আইনজীবী শিহাবুদ্দিন করয়াত বলেছেন, বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারিটির উপর দেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসে দলের জেলা সদর দফতরে এটি দেখানো হবে।
এমন পরিস্থিতিতে টুইটারে অনিল লেখেন, “বিজেপির সঙ্গে গুরুতর মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, যারা ব্রিটিশ সম্প্রচারকারী এবং যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন বিদেশ সচিব জ্যাক স্ট্রে-র মতামতকে সমর্থন করে তারা আদতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর বিষয়কেই পছন্দ করছে”। ইরাক যুদ্ধের নেপথ্যে অন্যতম মাথা হিসাবে বিবেচনা করা হয় স্ট্রে-কে। অনিলের মতে, “এ ধরনের মানসিকতা আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করবে”।
রবিবার কেন্দ্রের তরফে গুজরাতের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। একদিকে যেখানে জেএনইউ-তে এই ডকুমেন্টারি দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেখানে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হওয়ার পর দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এই আবহে ডকুমেন্টারি বিতর্ক দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকাতেও পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে।
আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলো, এ বারের থিম কী