নয়াদিল্লি: দল চালাতে টাকার দরকার। ভোটে লড়তেও চাই টাকা। বিজেপি হোক বা কংগ্রেস বা যে কোনও আঞ্চলিক দল, প্রত্যেকেই জনগণ অথবা কর্পোরেটদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদান দিয়ে আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটায়। ২০২২-২৩ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত অনুদান সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী (ইলেক্টোরাল) ট্রাস্টের মাধ্যমে মোট ৩৬৩ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে পেয়েছে ৩৯টি ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট সংস্থার থেকে। এই সময়ের মধ্যে বিজেপি ২৫০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান পেয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে বিজেপি পেয়েছে ২৫৯ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মোট অনুদানের ৭০.৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া, ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) মোট অনুদানের প্রায় ২৫ শতাংশ পেয়েছে। এখানে আশ্চর্যের বিষয় হল ২০২২-২৩ সালে বিজেপির পরে অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের পরিবর্তে একটি আঞ্চলিক দল দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস সম্মিলিত ভাবে পেয়েছে মাত্র ১৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। সমাজ নির্বাচনী ট্রাস্ট কংগ্রেসকে ৫০ লক্ষ অনুদান দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট চারটি রাজনৈতিক দল – বিজেপি, বিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং এএপিকে অনুদান দিয়েছে।
২০২২-২৩ সালের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ট্রাস্টের অবদান বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এডিআর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৯টি কর্পোরেট এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা নির্বাচনী ট্রাস্টগুলিতে এই বিশাল অঙ্কের অবদান রেখেছে। ৩৪টি কর্পোরেট এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টে ৩৬০ কোটি টাকারও বেশি অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: চর্চায় করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১, প্রকট নতুন ২ উপসর্গ