ত্রিপুরা : চলতি মাসের বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। চলতি বছর ত্রিপুরায় হতে চলেছে ত্রিপাক্ষিক লড়াই। চলতি মাসের ৬ তারিখ ভোট প্রচারে সে রাজ্যে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
শুক্রবার এ রাজ্যে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ত্রিপুরার বিজয় সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। কর্মীদের চাঙ্গা করতে একাধিক বার্তা দেন সর্বভারতীয় সভাপতি। এরপরই ত্রিপুরার গোমতিতে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে সারেন মধ্যাহ্নভোজন। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কলা পাতায় খাবার খেতে দেখা গেল সর্বভারতীয় সভাপতিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আদিবাসী সমাজের মন জিততেই এই রণকৌশল বিজেপির।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই আসন থেকে। জায়গা পান মানিক সাহা। গত কয়েক মাসে সিপিএমের পাশাপাশি ত্রিপুরায় জমি শক্ত করেছে তৃণমূলও। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার তালিকায় তৃণমূলের তরফে জায়গা দেওয়া হয়েছে একাধিক তারকাকে। আর তারা ত্রিপুরা পৌঁছানোর আগেই প্রচারে ঝড় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
চলতি মাসের ১৭ তারিখ বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। ফল প্রকাশিত হবে আগামী মাসের ২ তারিখ। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে পারে বিজেপির ইস্তেহার। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। আর তার আগে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট ৩৫ টি সভা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা কর্মীরা। উপস্থিত থাকতে পারেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।