নয়াদিল্লি: লোকসভায় ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের ভোটিংয়ের সময় অনুপস্থিত থাকা প্রায় ২০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর, এই সাংসদরা বিজেপি-র পক্ষ থেকে জারি করা হুইপ অমান্য করে ভোটিংয়ে উপস্থিত হননি।
মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল ‘এক দেশ, এক ভোট’ বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিল উপস্থাপন করেন—সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। তবে বিলটি প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এতে ২৬৯ জন পক্ষে ভোট দেন এবং ১৯৮ জন বিপক্ষে।
অনেকের মতে, সাংসদদের অনুপস্থিতি সংবিধান পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে আনা দু’টি বিলের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মূল বিরোধী দল কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, এবিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সমর্থন নেই। বিলের বিরোধিতা করে তারা। তাদের দাবি, সংসদ এ ধরনের আইনসভা পাস করার যোগ্য নয়।
বিরোধী দলগুলি বিলটিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত বলে আখ্যা দেয়। তাদের অভিযোগ, এটি গণতন্ত্রকে হত্যা করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। আইনমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, “এই বিল সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর বিরোধিতার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।”
বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিলটিকে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) কাছে পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বলেন, “জেপিসি-তে পাঠানোর মাধ্যমে এই বিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হবে”।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই ভোটিংয়ে অনুপস্থিত সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস পাঠানো হবে এবং হুইপ অমান্য করার কারণ জানতে চাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের আপত্তির মাঝেই মঙ্গলবার লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করে কেন্দ্র। এর পরে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল ডিভিশনের দাবি তোলে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বিধি মেনে কোনও বিল নিয়ে বিতর্কের আগে ভোটাভুটি করতে হয়।
আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি