মন্দিরের পুরোহিত কে হতে পারবেন তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, শাস্ত্র এবং মন্দিরের নিত্য কর্মে দক্ষ যে কেউ নিযুক্ত হতে পারেন মন্দিরের পুরোহতি পদে।
২০১৮ সালের আগাম ধর্মধারার শ্রীসুগভনেশ্বর স্বামী মন্দিরে অর্চক বা পুজারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় একটি ধর্মীয় ট্রাস্ট। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মন্দিরের এক পুরোহিত মুথু সুহ্মণিয়া গুরুকাল একটি মামলা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টে।
তাঁর যুক্তি, বংশামুক্রমে ওই মন্দিরে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পৌরহিত্য করে এসেছেন। সে জায়গায় হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এনডাওমেন্টস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরোহিত নিয়োগের কথা ঘোষণা করে। পুরহিতের দাবি এটা প্রথা বিরুদ্ধ, উত্তরাধিকার সূত্রেতারাই মন্দিরের পৌরহিত্য করে এসেছেন। অন্য কাউকে নিয়োগ করলে তাঁদের বঞ্চিত করা হবে।
রায়ে যা বলল আদালত
কিন্তু বিচারপতি এন আনন্দ বেঙ্কটেশ তাঁর রায়ে জানিয়েছে, মামলাকারীর দাবি আদৌ সঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে আদালত ১৯৭২ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি সংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের উল্লেখ করে বলে অর্চক বা পুজারি নিয়োগের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে বংশানুক্রমে কেউ পৌরহিত্যের অধিকার দাবি করতে পারে না।
বিচারপতি বেঙ্কটেশ তাঁর রায়ে বলেন, যিনি নিযুক্ত হবেন তাঁর শাস্ত্রজ্ঞান এবং মন্দিরের ক্রিয়াকর্মের দক্ষতাই বিচার্য বিষয়। কোনও জাত বংশানুক্রম, জাত-পরিচয় বিবেচ্য নয়।