নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক দলগুলিতে আর্থিক স্বচ্ছতা আনার অংশ হিসেবে নগদ অনুদানের বিপরীতে নির্বাচনী বন্ড (electoral bond) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে দলগুলির রাজনৈতিক তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প পরিষ্কার অর্থে অবদান রাখে বলে ধরে নেওয়া যায়। ফলে সংবিধানের ১৯(১)(এ) অনুচ্ছেদের অধীনে সেই তহবিল সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার অধিকার নেই সাধারণ নাগরিকদের। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি।
শীর্ষ আদালতে দায়ের করা একটি হলফনামায়, ভেঙ্কটরমানি বলেছেন যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধের আওতায় না পড়ে “কিছু এবং সবকিছু” জানা কোনো সাধারণ অধিকার হতে পারে না।
রাজনৈতিক তহবিলের বিযয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “বিশ্লেষিত স্কিমটি অবদানকারীকে গোপনীয়তার সুবিধা দিয়ে থাকে। এটা স্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি, এতে কর সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতাগুলি মেনে চলা নিশ্চিত করে। এভাবে, এটি বর্তমানে চলতি কোনো অধিকারের ক্ষতি করে না”।
সর্বোচ্চ আদালতের আইনি আধিকারিক বলেছেন যে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা আরও ভালো বা ভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের নীতিগুলি স্ক্যান করার বিষয়ে নয়। তাঁর কথায়, “একটি সাংবিধানিক আদালত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের পর্যালোচনা করে শুধুমাত্র তখনই, যদি তা বিদ্যমান অধিকারের উপর প্রভাব ফেলে।”
উল্লেখ্য, দলগুলির রাজনৈতিক তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের একটি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামীকাল (৩১ অক্টোবর) থেকে তেমনই একটি আবেদনের শুনানি শুরু করার কথা রয়েছে।
নির্বাচনী বন্ড কী?
নির্বাচনী বন্ডের প্রথম ব্যাচের বিক্রি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। শুধুমাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা এসবিআই (SBI) এই বন্ড বিক্রির জন্য অনুমোদিত। কোনো নাগরিক অথবা প্রতিষ্ঠান এই বন্ড কিনতে পারেন। কোনো ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, তিনি বন্ড কিনে দলের হাতে তুলে দেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনে স্বীকৃত যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আগের লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে অন্ততপক্ষে ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারা এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতে যোগ্য।
আরও পড়ুন: আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানকে পুরস্কৃত করার জল্পনায় জল ঢাললেন রতন টাটা