খবর অনলাইন ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। আগামী রবিবার তিনি শপথ নিচ্ছেন। তার আগে শুক্রবার তাঁর চিরশত্রু কংগ্রেসকে ঠেস দিতে ছাড়লেন না। তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিজেপি একা যতগুলো আসন জিতেছে, কংগ্রেস তিনটি লোকসভা নির্বাচন মিলিয়ে ততগুলো আসন জিততে পারেনি।
নবনির্বাচিত এনডিএ সাংসদদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “১০ বছর পরেও কংগ্রেস একশোটাও আসন জিততে পারল না।”
এবারের নির্বাচনে বিজেপি একার ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিততে পারেনি। তাঁরা ২৪০টি আসনে জিতেছে। উলটো দিকে কংগ্রেস জিতেছে ৯৯টি আসনে। সংখ্যাটা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে ৪৭টা বেশি। ’১৯-এ কংগ্রেস জিতেছিল ৫২টি আসনে। তার আগে ২০১৪-এর নির্বাচনে জিতেছিল ৪৪টা আসন। তিনটি নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের জেতা আসনের সংখ্যা ১৯৫।
‘মোদীর একটা দাবিও ভোটাররা অনুমোদন করেননি’
নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণে চুপ থাকেনি কংগ্রেস। তারাও পালটা আক্রমণ করেছে। নরেন্দ্র মোদী এখন এনডিএ-র শরিকদের উপর নির্ভরশীল। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব এখন দাঁড়িয়ে আছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র সমর্থনের উপর। সেই প্রসঙ্গই টেনে এনে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, “নরেন্দ্র, নায়ডু আর নীতীশ প্রত্যেকে এখন এক-তৃতীয়াংশ প্রধানমন্ত্রী।”
জয়রাম রমেশ বলেন, “তিনি হয়তো আসন পেয়েছেন, ভোট পেয়েছেন কিন্তু তিনি মান্যতা হারিয়েছেন। ২০২৪-এর নির্বাচন মোদীর কাছে ব্যক্তিগত, নৈতিক এবং রাজনৈতিক পরাজয়। কারণ তাঁর একটা দাবিও ভোটাররা অনুমোদন করেননি। তিনি বলেছিলেন ‘৪০০ পার’, কিন্তু তা হয়নি। তিনি বলেছিলেন ‘মোদী কা গ্যারান্টি’, কিন্তু জনগণ বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি।”
“বারাণসীতে সামান্য ব্যবধানে জেতাটাকে তিনি কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?” প্রশ্ন করেন রমেশ এবং দাবি করেন, বিজেপি সংসদীয় দল কিন্তু এখনও তাঁকে তাঁদের পার্টির নেতা হিসাবে নির্বাচন করেনি।
আরও পড়ুন
৫ দিনে চন্দ্রবাবু নাইডুর স্ত্রীর সম্পত্তি বেড়েছে ৫৭৯ কোটি, ছেলের ২৩৭ কোটি
‘ভুল ছিল, আসন সংখ্যা নিয়ে আর ভবিষ্যদ্বাণী করব না’, স্বীকার প্রশান্ত কিশোরের