নয়াদিল্লি: সর্বসম্মতিক্রমে ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারপার্সন বেছে নেওয়া হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছিল জোট। সেখানেই দীর্ঘ আলোচনার পর ঘোষণা করা হয়, কংগ্রেসের সভাপতিই হবেন জোটের চেয়ারপার্সন।
এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, আম আদমি পার্টির অরিবন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির শরদ পওয়ার, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। এ দিনের ভার্চুয়ালের বৈঠকে তৃণমূল যোগ দেয়নি। কংগ্রেস বৈঠকের কথা অনেক দেরিতে জানিয়েছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের।
আজকের বৈঠকে জোটের প্রধান হিসেবে খড়্গের নামেই সকলে সম্মতি দেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। খড়্গে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সেই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এর আগের একটি বৈঠকে খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা। তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে খড়্গের নেতৃত্বে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচনের ময়দানে নামার প্রস্তাব দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। সেই সময়ই মমতার প্রস্তাবে সায় দেন কেজরিওয়াল এবং স্ট্যালিন। সেই সময় খড়্গে যদিও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন।
সে সময় কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছিলেন, “আমাদের লক্ষ্য জেতা। আমাদের চিন্তা কেবলমাত্র সেটা নিয়েই। আগে আমরা জেতার চেষ্টা করব। প্রথমে সবাইকে জিতে আসতে হবে। হাতে সাংসদ না থাকলে প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে।” তবে এদিনের বৈঠকে খড়্গের নামেই সকলে সম্মতি জানান বলে খবর। খড়্গের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা সংযুক্ত জনতা দলের নেতা নীতীশ কুমার ক্ষুণ্ণ হন বলেও শোনা যায়। এদিন নীতীশকে জোটের আহ্বায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, এ দিন নীতীশ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে অনুপস্থিত মমতা, কী কারণে ‘রুষ্ট’ তৃণমূল