বুধবার গভীর রাতে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব-মধ্য এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর একটি খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পর জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ৫ কিমি বেগে প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হয় এবং অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে, অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে গোয়া থেকে প্রায় ৮৬০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৯৭০ কিলোমিটার , পোরবন্দরের ১০৫০ কিলোমিটার এবং করাচি থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় উত্তর দিকে এবং তারপরে পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
আরব সাগরে ক্রমশ ঘনীভূত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের জোরালো প্রভাব পড়েছে বর্ষার উপরে। কেরলে বর্ষা প্রবেশের সময় বিলম্বিত হয়েছে। এখনও আট দিন দেরি। রাজস্থান এবং গুজরাত-সহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড-সহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগামী পাঁচ দিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, বর্ষা শুরুতে দেরি হওয়ার পিছনে আরব সাগরে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, দক্ষিণ আরব সাগর, লাক্ষাদ্বীপ, দক্ষিণ-পশ্চিমের আরও কিছু অংশ, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশে বৃষ্টি তৈরিতে বিলম্ব দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যে বর্ষা পৌঁছতে ১০ থেকে ১৫ দিন দেরি হতে পারে।
এ দিকে, এ দিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বস্তির বিষয়, তিন জেলায় হতে পারে বৃষ্টিপাত। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্য দিকে, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-এই পাঁচ জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বর্ষা বিলম্বিত, আর কতদিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া